সব চূড়ান্ত হওয়ার দশ বছর পরও তিস্তা চুক্তি না হওয়া বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক, আর ভারতের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
দিল্লিতে যৌথ পরামর্শক কমিটির সভায় অংশ নিতে যাওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এবারও আলোচনায় তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বন্টনের প্রসঙ্গ আনবে ঢাকা। এছাড়া খাদ্য, জ্বালানি ও নিরাপত্তার পাশাপাশি দু’দেশের যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে আলাপ রোববারের (১৯ জুন) বৈঠকে গুরুত্ব পাবে বলে জানান ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
২০১১ সালে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছিল তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিরোধিতায় ভেস্তে গিয়েছিল তা। তারপর পেরিয়ে গেল এক দশক। এখনও অনিশ্চিত তিস্তা চুক্তির ভবিষ্যৎ। গত মেয়াদেই নরেন্দ্র মোদি এটি করার কথা বললেও নিকট ভবিষ্যতে যে তা হচ্ছে না, সেটা নিশ্চিত।
গঙ্গা ছাড়া অভিন্ন আরও ৫২টি নদীর পানি বন্টনও বাকি। দিল্লির সাথে বৈঠকে তিস্তা নিয়ে কথা বলা যেন রুটিন ওয়ার্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের। এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এবারের বৈঠকে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে জোর দিব। বলব, এটা হওয়া উচিত।
কূটনৈতিক পর্যায়ে দু’দেশের সর্বোচ্চ ফোরাম এই যৌথ পরামর্শক কমিটির সভা। এবারের সভায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী বাস্তবতায় খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ কীভাবে স্বাভাবিক করা যায়, প্রাধান্য পাচ্ছে সেটিও।
গত ৩০ মে এই বৈঠকের সময় নির্ধারিত থাকলেও আসামে অনুষ্ঠিত পানি সম্মেলনে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাতের পর সেটি পিছিয়ে যায়। রোববার বৈঠকের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ হতে পারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের।
/এমএন