রাজবাড়ীতে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে আব্দুর রহিম মণ্ডল (৫৬) নামের একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলার সিনিয়র দায়রা জজ মোসাম্মাৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার জাগিরকয়া গ্রামের মৃত তাছের আলী মণ্ডলের ছেলে। নিহত ফাহিমা ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর গ্রামের সেকেন ফকিরের মেয়ে।
নিহত ফাহিমা বেগমের মেয়ে মাসুদা বেগম বলেন, তার মাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাজবাড়ীতে এনে নগদ টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, কাতার থাকা অবস্থায় আব্দুর রহিম মণ্ডল ও ফাহিমা বেগমের মধ্যে পরিচয় হয়। পরে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠলে দুজন দেশে চলে আসে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মো. আব্দুর রহিম মণ্ডল ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ফাহিমা বেগমকে রাজবাড়ীর কালুখালীতে এনে ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহটি গুম করার জন্য আলামত বিভিন্নস্থানে ফেলে রাখে। পরে ৫ অক্টোবর ধানক্ষেত থেকে অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ বাদী হয়ে ৭ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা করে। এ ঘটনায় জড়িত মো. আব্দুল রহিম মণ্ডলকে কালুখালীর বড়ইচারা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি আহম্মেদ আলী মৃধা বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আব্দুর রহিম মণ্ডলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
রুবেলুর রহমান/আরএইচ/জেআইএম