স্টাফ রিপোর্টার
হবিগঞ্জ
দুর্নীতির প্রথম চিত্র
সদ্য এম পি ভুক্ত হওয়া হবিগঞ্জ জেলার সদর থানায় অবস্থিত,নূরে মোহাম্মদীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ বানিজ্যের কাছে বৃথাই গেল অত্র প্রতিষ্ঠান শুরু হতে নিয়োগ প্রাপ্ত অফিস সহকারী মোছাঃ ছফিনা খাতুন।
অত্র প্রতিষ্ঠানের শুরু হতেই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভেবে নিরলসভাবে সততার সহিত অফিস সহকারী পদে কাজ করে আসছেন।
সদ্য এম পি ভুক্ত নামের তালিকা প্রকাশিত নন এম পি ও হতে এম পিও প্রতিষ্ঠান হিসাবে অত্র প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকাভুক্ত হয়।সেই সুবাদে অত্র মাদ্রাসার সুপার সেলিম- সহ, সভাপতি ও কমিটির দুর্নীতির কবল থেকে শেষ রক্ষা পেল না ছফিনা খাতুন।
অসহায় ছফিনার আকুতি শোনার মত আর কেউ রইল না।অত্র মাদ্রাসার সুপার সেলিম, সে ছফিনা খাতুনকে তার বাসায় ডেকে নেন।ধর্মীয় অনূভুতি প্রকাশ করে ঘোষ নয় তবে মাদ্রাসার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ৩ লাখ টাকা দান হিসাবে বদরুর রেজা সেলিম ছফিনাকে প্রস্তাব দেন।
এদিকে ছফিনার নুন আনতে পানতা ভাত পোড়ায়। কোথা থেকে এত টাকা পাবেন। আর যদি টাকার বিনিময়ে নিয়োগ নিতেন মাদ্রাসা এম পি ভুক্ত হলে তাহলে শুরু থেকে কেনো আমাকে (ছফিনা) অফিস সহকারী হিসাবে নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন।
এই প্রতি উত্তরে সেলিম বলল দেখুন আপ্নি যদি না পারেন তাহলে আপ্নার এই পদের জন্য এর চেয়েও বেশী টাকা দিয়ে অনেকেই আসতে চায়। কিন্তু আপ্নিত দীর্ঘবছর ধরে আমাদের সাথে এক সাথে কাজ করে আসছেন। সেই সুবাদে আপ্নাকে আমরা সবাই কম্প্রোমাইজ হিসাবে ৩ লাখ টাকার মাধ্যমে ই নিয়োগ দিতে পারবো।
অত্র মাদ্রাসায় নিম্নমান অফিস সহকারী পদে ৩ লাখ টাকা না দিতে পারায় এই পদ বিক্রি করে দেওয়া হয় মোঃ রুহুল আমিন (জিলু)এর কাছে।ভূয়া নিয়োগ দেখিয়ে ২০১৫ সাল হতে অফিস সহকারী পদে নিয়োজিত ও কর্তব্যরত দেখানো হয়েছে।অথচ তখনো ছফিনা খাতুন অত্র মাদ্রাসায় অফিস সহকারী হিসাবে কর্তব্যরত।
রুহুল আমিন জিলুর নিয়োগ খুজতে গিয়ে বের হয়ে আসলো আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখানে নতুন করে সাজিয়েছিল নিয়োগ বানিজ্যের জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের স্টাফদের হাজিরা খাতা।যেখানে অফিস সহকারী হিসাবে ছফিনা খাতুনের কোনো নাম গন্ধ নেই।অথচ অত্র মাদ্রাসার আশেপাশে গ্রামের সবাই জানে ছফিনা খাতুন নুরে মোহাম্মদীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ প্রাপ্ত অফিস সহকারী।
ছফিনা বেগম নিরুপায় হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অত্র মাদ্রাসার সুপার সেলিমের নিজ হাতের লেখা অভিজ্ঞতার সনদ পত্র ২৫/০৬/২০০৬ ইং তারিখ হতে অদ্যাবধি অফিস সহকারী পদে নিযুক্ত থাকার সনদ দুইটা, তার প্রমান নিয়ে ২৯/০৬/২০ ইং তারিখে একই দিনে তিনটি অভিযোগ দায়ের করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান, হবিগঞ্জ,জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ, জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ( ডিও) হবিগঞ্জ।
৩০/০৬/২০ইং তারিখে আবার একই দিনে আরও ৩ টি অভিযোগ দায়ের করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হবিগঞ্জ, ও উপপরিচালক সিলেট (ডিডি) বরাবর অভিযোগ পত্র দায়ের করেন।ছফিনা খাতুন অভিযোগ পত্র দেখে হবিগঞ্জের ডিও সাহেব ছফিনাকে অত্র মাদ্রাসার সুপার, সভাপতি ও কমিটির আদেশ মেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
ছফিনা খাতুন নিরুপায় হয়ে এম পি বরাবর ও অভিযোগ দায়ের করেন।নুন আনতে যার পান্তা ভাত পুড়ায় সে কি করে বদরুর রেজা সেলিমের চাহিদা পুরন করবে।তারপর কেঁচো কুড়তে যাইয়া বিষাক্ত সাপের সন্ধান।বের হয়ে আসলো এন টি আর সি কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত পাব্লিসিটি করে যাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ও ৫ লাখ করে টাকা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাদের আসল তথ্য ।
ইনডেক্স ধারী , তারা কেহই এন টি আর সি হতে সরাসরি নিয়োগ প্রাপ্ত নন।তাদের ডকুমেন্টস ভুয়া ও টাকার মাধ্যমে নিয়োগ দানের সকল কুকর্ম ফোনালাপ এর রেকর্ড ও পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে