Site icon Amra Moulvibazari

মাদ্রাসার প্রিন্সিপালদের রমরমা ব্যবসা ও ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃস্টি কামনা।

মাদ্রাসার প্রিন্সিপালদের রমরমা ব্যবসা ও ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃস্টি কামনা।

স্টাফ রিপোর্টার :-হবিগঞ্জ সদর
হবিগঞ্জে সদ্য
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান গুলোতে জালিয়াতি করে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। স্থানীয়, জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় হবিগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জালিয়াতি করে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের সংবাদটি ফলাও করে প্রকাশ হওয়ায় জেলা শহর সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারে সর্বত্র মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের এসব অনিয়ম দূর্নীতি ও জালিয়াতির বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে।

হবিগঞ্জ দারুছুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ফারুক মিয়া,চুনারুঘাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল হক, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিয়া উদ্দিন, জেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল্লার সমন্বয়ে গঠিত শক্তিশালী নিয়োগ বাণিজ্যের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য খাতের মত শিক্ষা খাতের দিকেও র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নজর দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রী ও সচেতন অভিভাবকগন।

জানা যায়, হবিগঞ্জে সদ্য এমপিওভুক্ত বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে হবিগঞ্জ দারুছুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী নিয়োগ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।ওই সিন্ডিকেট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ বোর্ডের প্রতিনিধির সীল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কর্মরত প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক কর্মচারীদের বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বহিরাগত অদক্ষ লোকদেরকে এমপিওভুক্তির জন্য ভুয়া স্টাফ প্যাটার্ন শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রেরণ করে। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জালিয়াতির হোতা প্রিন্সিপাল ফারুক সহ অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসারদের বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়।

প্রিন্সিপাল ফারুক ও অসাধু শিক্ষা অফিসাররা নিজদের দুর্নীতি আড়াল করতে তাদের সুবিধাভোগী লোকদেরকে দিয়ে প্রকাশিত এসব সংবাদ মিথ্যা বলে প্রোপাগাণ্ডা চালাচ্ছেন যা বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ফৌজদারি অপরাধে গণ্য হবে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি পত্রিকার আইন বিষয়ক সম্পাদক। কেননা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জালিয়াতির ডকুমেন্টারি এসব সংবাদে যা কিছু লিখা হয়েছে পত্রিকার ভুয়া বিজ্ঞপ্তি থেকে ইন্টারভিউর ভুয়া রেজাল্ট শীটের সব ডকুমেন্ট ই সংশ্লিষ্ট পত্রিকা অফিসের ফাইলে সংরক্ষিত রয়েছে শুধু তাই নয় সীল স্বাক্ষর জালিয়াতির ৫৮ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন করার পাশাপাশি থানায় অনিয়ম দূর্নীতি ও জালিয়াতির এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

যেহেতু সংবাদে উল্লেখিত অনিয়ম দূর্নীতি ও জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তাধীন আছে, জালিয়াতি নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের সত্য মিথ্যার বিষয়টি তদন্তেই বেরিয়ে আসবে। কোনো প্রকার ডকুমেন্টারি ব্যাখ্যা ছাড়া না জেনে তদন্তাধীন বিষয়ে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা চালানো দণ্ডবিধির ফৌজদারি অপরাধ বলেই মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে জালিয়াতি করে নিয়োগ বাণিজ্যের সংবাদ প্রকাশিত হলে সিলেটের উপপরিচালকের কার্যালয়ে অধিকাংশ এমপিও আবেদন বাতিল হয়ে যায়, ফলে নিয়োগ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট যেভাবে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি, ভুয়া ইন্টারভিউ বোর্ড দেখিয়ে এমপিও আবেদন করেছিল ঠিক সেভাবেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ গুলো মিথ্যা বলে প্রতিবাদ প্রকাশ করে শিক্ষা অফিসে ওই প্রতিবাদের কপি দেখিয়ে জালিয়াতির আবেদন গুলো এমপিওভুক্ত করার চেস্টায় লিপ্ত রয়েছে।

নূরে মোহাম্মদীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার
বদরুর রেজা সেলিম অফিস সহকারী মোছাঃ ছফিনাকে বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে মোঃ রুহুল আমিন (জিলু) কে নিয়োগ দান করে ভূয়া বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে।অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।

তেতুল ফারুকের মুরিদ সেলিম টাকার লিপ্সা সামাল দিতে না পেরে এন টি আর সি কর্তৃক নিয়োগ বলে ৫/৬ জন শিক্ষক অন্য জেলার নিয়োগ দেয়।এই নিয়োগের মাধ্যমে সেলিমের চাচাতো বোন মোছাঃ রেফা বেগমকেও অত্র মাদ্রাসায় নিয়োগ দেখিয়ে দেয়।মোঃ কাউছার কারী মৌলভী টাকার বিনিময়ে নিয়োগ।সমস্ত জ্বালিয়াতি ধরা পড়ায় অত্র মাদ্রাসার অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্তদের বেতন ও ফাইল আটকে আছে। অবৈধভাবে নিয়োগের ২ জন শিক্ষকের বেতন পেয়েছে বলে জানা যায়।

অভিযোগে প্রকাশ, সদরের নুরে মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইংরেজি তারিখের দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কপি দিয়ে এমপিওভুক্তির আবেদন করা হয় কিন্তু ইনকিলাব অফিস থেকে উল্লেখিত তারিখের পত্রিকা সংগ্রহ করে দেখা যায় ওই পত্রিকায় নুরে মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার কোনো প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ই নেই, তাছাড়া উক্ত মাদ্রাসার সুপার বদরুল রেজা দিনারপুর ফুলতলী গাউছিয়া মাদ্রাসার ইনডেক্সধারী একজন সহকারী মৌলভী। তিনি অধ্যক্ষ ফারুক মিয়ার যোগসাজশে প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষকদের বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বহিরাগতদের ২০০৫ সালের নীতিমালায় নিয়োগ দেখিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠাকালীন অফিস সহকারী ছফিনা খাতুন জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসে তার পদ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ব্যবস্থা নেয়ার লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। একই ভাবে সদরের চাঁনপুর দারুছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ইন্টারভিউ বোর্ড এবং শরীফাবাদ দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে ইন্টারভিউ বোর্ড সবই ভুয়া, যা হবিগঞ্জ দারুছুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ ফারুক মিয়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলোর সুপারদের যোগসাজশে এসব ফাইল জালিয়াতি করে তৈরি করেছেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে। শিক্ষা খাতের এসব অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে নজর দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

অত্র প্রতিষ্ঠান গুলাদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু দৃস্টি কমনা করছি।জ্বালিয়াতি বন্ধ করে সুস্ট তদন্তের মাধ্যমে সব ডকুমেন্টস জাস্টিফাই করে শিক্ষার মান উন্নয়ন কামনা করছি।

Exit mobile version