Site icon Amra Moulvibazari

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর আনুমোদন নিয়ে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর আনুমোদন নিয়ে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ

১৩টির মতো ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ। এসব প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে সরকারের বিভিন্ন হাসপাতাল ও দপ্তরে মালামাল সাপ্লাইও দিতেন তিনি।
সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পেয়েছেন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা। এদিকে করোনা টেস্টে জালিয়াতি নিয়ে জেকেজির মামলার তদন্তে এসেছে অগ্রগতি।

মোহাম্মদ সাহেদ সরকারের কাছ থেকে শুধু কোভিড হাসপাতাল রূপান্তর বাবদ চেয়েছিলেন ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালেই ভুয়া করোনা টেস্ট শুরু করেন তিনি।

এমন আরো চাঞ্চল্যকর প্রতারণার তথ্য বেরিয়ে এসেছে ডিবির জিঞ্জাসাবাদে। প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে সাহেদ গড়ে তুলেন ১৩টির মতো ভুয়া প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে অন্যতম ছিল রিজেন্ট হাসপাতাল। এছাড়াও ছিল আবাসিক হোটেল, ল ফার্ম, স্কুল-কলেজ ও গমমাধ্যম প্রতিষ্ঠান।

সবশেষ করোনা সংক্রমণের পর আলবার্ট গ্লোবাল নামের একটি গার্মেন্টস খুলেন তিনি। যেখান থেকে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে পিপিই সহ সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ করা হয়। আর ভুয়া প্রতিষ্ঠান থেকে এসব সরবরাহ করতে নেয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন।

এদিকে ডিবির কাছে থাকা করোনা টেস্টে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেল্থ কেয়ারের আরিফ ও সাবরিনাকেও দ্বিতীয় দফায় মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, ফেইস ভেল্যু ব্যবহার করে প্রতারণা করে গেছেন সরকারি ডাক্তার সাবরিনা। এই কাজে জেকেজিকে সহায়তাও করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর দায়িত্বশীল কিছু কর্মকর্তারা।

রিজেন্টের মালিক সাহেদের বিরুদ্ধে করা সব মামলার তদন্ত ভার ডিবি থেকে আবারো র্যাবে যাওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। রিজেন্ট ও জেকেজি দুটি প্রতিষ্ঠানই একই পদ্ধতিতে করোনা নিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে জালিয়াতি করেছে। তবে এদের মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।


আরো খবরঃ স্বাস্থ্যখাতে হরিলুট ও দুর্নীতি! ধরা ছোঁয়ার বাইরে সিন্ডিকেট গডফাদাররা


আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari

Exit mobile version