Site icon Amra Moulvibazari

স্বাস্থ্যখাতে হরিলুট ও দুর্নীতি! ধরা ছোঁয়ার বাইরে সিন্ডিকেট গডফাদাররা

স্বাস্থ্যখাতে হরিলুট ও দুর্নীতি! ধরা ছোঁয়ার বাইরে সিন্ডিকেট গডফাদাররা

জাল-জালিয়াতি, প্রতারক, দুর্নীতি আর সিন্ডিকেটের দখলে এখন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাহেদ-সাবরিনা-আরিফরা ধরা পড়ছে, কিন্তু তাদের গডফাদাররা সবসময়ই থাকে আইনের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ফলে এই সংকটের সমাধান কখনো হয় না। ভুক্তভোগী হতে হয় সাধারণ মানুষকে।

মাত্র ৩০ মিনিটের অক্সিজেনের বিল হয়েছে ৮৬ হাজার টাকা। অবিশ্বাস্য হলেও করোনাকালে এটাকেই সত্যি বানিয়েছিলো আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল। ১৫ দিনে বিল হয়েছিলো প্রায় সাড়ে তিন লাখের বেশি।

একইকাণ্ড ঘটায় রাজধানীর প্রশান্তি হাসপাতালও। ১৩ জুলাই আরেক কান্ড ঘটায় লাজফার্মা। তাদের কাকরাইলের ওষুধ বিপণিকেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অননুমোদিত ওষুধ ও ইনজেকশন জব্দ করে র‌্যাব-৩ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, মূলত লাগেজ পার্টির মাধ্যমে অননুমোদিত ও আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ-ইনজেকশন দেশে আনতো লাজফার্মা।

আর সব কিছুকে ছাপিয়ে মানুষ এবং রাষ্ট্র দুটোকেই ঠকিয়েছে রিজেন্টের পরিচালক মো. সাহেদ। সংবাদমাধ্যম – টকশোতে  মুখে বড় বড় নীতিকথা বলা সাহেদ এখন প্রতারণার আইডল। তাদের মতই জেকেজিও মানুষের সাথে করেছে তামাশা। চরম দুর্দিনে ব্যস্ত হয়েছে লুটপাটে।

বিশ্লেষকরা এই পরিস্থিতিকে বলছেন স্বাস্থ্যখাতে হরিলুট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখরচের ৭০ শতাংশ বহন করেন নাগরিকরা। সরকারি হিসেবে শুধু ২৩ শতাংশ ব্যয় করছে রাষ্ট্র। তারমধ্যেও আছে ব্যবস্থাপনার সংকট আর সিন্ডিকেটের দৌরাত্ত্ব। রিজেন্ট কিংবা জেকেজির বিরুদ্ধে অভিযান হয়তো আপাত স্বস্তি দিচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যখাতকে সিন্ডিকেট দুর্নীতি মুক্ত করতে না পারলে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না—বলছেন এই খাত সংশ্লিষ্টরা।


আরো পোস্টঃ পাঠাও এর প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম হত্যার বিচার শুরু |আদালতে মিললো প্রমাণ


আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari

Exit mobile version