Site icon Amra Moulvibazari

ই-স্কুটার বন্ধে প্যারিসে গণভোট

ই-স্কুটার বন্ধে প্যারিসে গণভোট


অভিনব এক গণভোট আয়োজিত হলো ফ্রান্সের প্যারিসে। ইলেক্ট্রিক স্কুটার বন্ধের পক্ষে-বিপক্ষে রায় জানিয়েছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। দুই চাকার এই বাহন নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে নগরটিতে। এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন অনেকেই। খবর বিবিসির।

মেট্রো বা গণপরিবহন এড়াতে প্যারিসে বেশ জনপ্রিয় ই-স্কুটার। ২০১৮ সালে প্রথম অনুমোদন দেয়া হয়েছিল এই বাহনের। তবে নানা অভিযোগ, নৈরাজ্যের জেরে অপারেটরের সংখ্যা কমিয়ে নামানো হয় তিনটিতে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতি, চালকের বয়সসীমা ন্যূনতম ১৮ বছরসহ নানা শর্ত আরোপ করা হয় এ স্কুটারের ক্ষেত্রে। এরপরও নানা অভিযোগ রয়েছে এর বিরুদ্ধে।

তাই এই ই-স্কুটার বন্ধ করা হবে কিনা তা নির্ধারণে আয়োজন করা হয় এই গণভোট। ভোটে অংশগ্রহণকারীদের একটি বড় অংশ ই-স্কুটার বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন। তারা বলছেন, প্যারিসে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলে এই ই-স্কুটার, মানা হয় না ট্রাফিক আইনও। এছাড়া ব্যবহৃত লিথিয়াম ব্যাটারিগুলো পরে নদীতে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে। যা, পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

প্যারিস পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ইলেক্ট্রিক স্কুটারের কারণে মৃত্যু হয় তিনজনের। আহত হয় ৪৫৯ জন। এটিতে ব্যবহৃত লিথিয়ামের ব্যাটারি পুনর্ব্যবহার করা যায় না। ফলে পরিবেশের জন্য এটিকে ক্ষতিকর বলে মনে করছেন অনেকে।

তবে ই-স্কুটার পুরোপুরি বন্ধ না করে লাইসেন্স প্লেট চালুসহ নিরাপত্তা ইস্যুতে কড়াকড়ি করার প্রস্তাব করেছে অপারেটররা। তারা বলছেন, স্কুটার বন্ধ কোনো সমাধান নয়। বরং ট্রাফিক আইন মানা নিশ্চিত করতে হবে।

বর্তমানে ১৫ হাজার ভাড়ায় চালিত স্কুটার চালু রয়েছে প্যারিসে। ভোটের ফলাফল বিপক্ষে গেলে ২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে সেগুলো।

এসজেড/



Exit mobile version