Site icon Amra Moulvibazari

সোনাদিয়া দ্বীপের ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

সোনাদিয়া দ্বীপের ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ


কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ সচিব, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ১৩ জন বিবাদীর প্রতি এই নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন।

আরও পড়ুন

সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধে ও অবৈধ চিংড়ি ঘের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ২৯ আগস্ট বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান আইনজীবী মো. রহিম উল্লাহ, মহেশখালী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য এম আজিজ সিকদার, মো. ইউনুস ও সিরাজুল মোস্তফাসহ ১২ জন।

নোটিশে সোনাদিয়া দ্বীপে ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধ ও অবৈধ চিংড়ি ঘের উচ্ছেদে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়। সে নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করলে আদালত আজ রুলসহ আদেশ দেন।

আদেশের পর আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯৯ সালে সরকার সোনাদিয়া দ্বীপকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে। সম্প্রতি এই দ্বীপ ও আশপাশের এলাকা, যেমন- ঘটিভাংগা, তাজিয়াকাটা ও হামিদার দিয়া এলাকার ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ধ্বংস করে অবৈধ চিংড়ি ঘের তৈরির মহাযজ্ঞ চলছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। হাইকোর্টের আদেশের ফলে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে আশা করি।

এফএইচ/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version