Site icon Amra Moulvibazari

মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলো এসএসসি পরীক্ষার্থী

মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলো এসএসসি পরীক্ষার্থী


নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার (২ মে) দিবাগত রাতে মারা যায় শিক্ষার্থীর মা। মায়ের মৃত্যুর পর কান্নায় ভেঙে পড়ে সাদিয়া। পরে স্বজনদের কথা মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে রাজি হয় সে।

সাদিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের আকানগর গ্রামের প্রবাসী শফিকুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাহকান্দি মধ্যনগরে তার নানার বাড়ি। নানার বাড়িতে থেকে নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ আবদুর রউফ মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে সে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তার মা জলি আক্তার (৩৭) ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বুধবার সকালে তার মরদেহ বাড়িতে নেয়া হয়।

সাদিয়ার পরিবার জানায়, জলি বেগম বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হয়। স্বজনেরা তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুর সংবাদে ভেঙে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া। বুধবার সকাল থেকে মায়ের লাশের পাশে বসে থাকে সাদিয়া। স্বজনেরা তাকে নানাভাবে বুঝিয়ে পরীক্ষা দিতে পাঠায়। সাদিয়ার সাথে এক স্বজনকে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সাদিয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পর স্বজনেরা তার মায়ের লাশ দাফনের প্রস্তুতি নেন। সাদিয়ার মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোকাররম হোসেন ওই কেন্দ্রে যান। তিনি সাদিয়াকে সান্ত্বনা দেন। পরীক্ষা শেষ হলে বিকেলে বাদ আসর জানাজার পর সাদিয়ার মায়ের দাফন সম্পন্ন হয়।

সলিমগঞ্জ আবদুর রউফ মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাম্মদ আলী বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়ার মা হারানোর বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। তার কক্ষের পর্যবেক্ষকসহ আমি কেন্দ্রে তার খোঁজ খবর রেখেছি।

সাদিয়া আক্তার বলে, তার মা তাকে অনেক ভালোবাসতেন। মা চাইতেন যেন সে পড়াশোনা করে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে। তাই মায়ের কথা ভেবেই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে সে।

/এনএএস



Exit mobile version