নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দারিয়াপুর এলাকায় অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বেঁকে যাওয়া প্রতিরোধে ১২৬ ফুট পরপর ৮টি অংশে রেললাইন কাটা হচ্ছে। ফলে ওই আট অংশে রেললাইন কাটা শেষে কাঠের স্লিপার পরিবর্তন করে পিসি স্লিপার (সিমেন্টের) লাগানো হবে।
মঙ্গলবার (২ মে) দিনব্যাপী ক্ষতিগ্রস্থ অংশে রেললাইন কাটার কাজ করে রেল কর্মীরা। তবে এই কাজ শেষ হতে ৫/৭ দিন সময় লাগবে। তবে আপ লাইনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হচ্ছে।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মনিরুল ইসলাম জানান, জেলা শহরের দারিয়াপুর এলাকায় কন্টেইনার বহনকারী মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় ৬২৫টি স্লিপার ভেঙে গেছে। আপলাইনে ২ কিলোমিটার ২০০ মিটার পরপর রেললাইনে জয়েন্ট রয়েছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে রেললাইন লম্বা হয়ে যায়। তাই দারিয়াপুর এলাকায় ১২৬ ফুট পরপর আটটি পয়েন্টে রেললাইন কাটা হবে। এখন রেল লাইন কাটার কাজ চলছে।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান তারেক বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আপলাইন দিয়ে ট্রেন এলে লাল নিশানা উড়িয়ে কাজ বন্ধ রেখে ট্রেন যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ট্রেন চলে গেলে আবার কাজ শুরু হয়।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, আপলাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু গোকর্ণ লেভেলক্রসিং এলাকা থেকে দুর্ঘটনাকবলিত দারিয়াপুর পর্যন্ত আপলাইনের সব ট্রেন ১০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করছে।
উল্লেখ্য, ঢাকার সাথে আপ লাইনে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) ৩০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল পথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাড়িয়াপুর এলাকায় রেল লাইনটি বাঁকা হয়ে যাওয়ার আট ঘণ্টা পর শনিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬.৪০ মিনিটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে দিকে তীব্র গরমে একই স্থানের রেল লাইন বাঁকা হয়ে মালবাহী ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে একটি লাইনে আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা চেষ্টার শুক্রবার সন্ধ্যা ৭.২০ মিনিটে লাইনচ্যুত হওয়া বগিগুলো উদ্ধার করে মেরামতের পর ঢাকাগামী আপলাইনটি দিয়ে ট্রেন চলাচল করে।
/এনএএস