Site icon Amra Moulvibazari

স্বাধীনতা দিবসে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অভিনয় শিল্পীদের প্রতিবাদ

স্বাধীনতা দিবসে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অভিনয় শিল্পীদের প্রতিবাদ


স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অভিনয় শিল্পীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সোমবার (৩ এপ্রিল) লিখিত বক্তব্যে তারা এ প্রতিবাদ জানান।

লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ২৬ মার্চ কোনো বাঙালির জন্য নিছক একটি তারিখ নয়। কারণ, এই দিনেই বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এই স্বাধীনতা কেউ আমাদের সোনার থালায় করে তুলে দিয়ে যায়নি। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ, ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম, অগণিত মুক্তিযোদ্ধাদের বলিদানের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই স্বাধীনতা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের আত্মত্যাগের ফসল এই স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবস আমাদের আত্মমর্যাদার কীর্তিস্তম্ভ। আর এই দিনটিকেই একটি কুচক্রী মহল বেছে নিয়েছে জঘন্য মিথ্যাচারের জন্য।

অভিনয় শিল্পীরা আরও জানান, করোনা মহামারি, বৈশ্বিক খাদ্য সংকট, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট ও বৈশ্বিক মাইক্রোচিপ সংকটের কারণে সমগ্র পৃথিবীতেই এই মুহূর্তে এক টালমাটাল অবস্থা। বাংলাদেশও এই সংকটের বাইরে নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন এই ক্রান্তিকালের বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই করে যাচ্ছেন ঠিক সেই সময়ই একটি কুচক্রী গোষ্ঠী আবারও ফণা তুলে দাঁড়িয়েছে। ‘দৈনিক প্রথম আলো’ সম্প্রতি আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একটি অবুঝ শিশুর ছবি ব্যবহার করে তার সাথে মনগড়া এক দিনমজুরের নাম জুড়ে দিয়ে তারা একটি মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা শুধু সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থী নয় বরং মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা। একটি অবুঝ শিশুকে ব্যবহার করে মনগড়া ভাষায় লেখা প্রতিবেদনটি হলুদ সাংবাদিকতার এক জঘন্যতম নজীর এবং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।

তারা জানান, প্রথম আলোর এই নৈতিকতা বহির্ভূত প্রতিবেদনটি ১৯৭৪ সালের বাসন্তী নাটকেরই একটি ধারাবাহিকতা। ৭৪-এ স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের হাতিয়ার ছিল বাসন্তী, আজ সেই চক্রের হাতিয়ার জনৈক ‘জাকির’ যার আদৌ কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা সন্দেহ। এই প্রতিবেদন মহান স্বাধীনতা দিবসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি অপচেষ্টা এবং বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার একটি ষড়যন্ত্র।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার নাম মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়। সুগভীর ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে দেশের ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে নষ্ট করা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়। একটি কোমলমতি শিশুকে ব্যবহার করে স্বার্থ হাসিল করা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়। প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই মিথ্যা প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা আশা করছি সরকার এই কুচক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি কার্যকলাপ শুরু করবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কুচক্রী মহল আর কোনোদিন যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।

ইউএইচ/



Exit mobile version