Site icon Amra Moulvibazari

লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে শিকলে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে শিকলে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের একটি ইটভাটায় স্বামীকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন ও তার স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে ভুক্তভোগি নারী এ অভিযোগ করেন। বিকেলে তিনি সদর মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে লক্ষীপুর থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিনকে ঘটনাটি জানান। এদিকে, ৯৯৯ এ কল পেয়ে সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল সদর উপজেলার চর রমনীমোহন ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চর রমনী গ্রামের বনফুল ব্রিকস এন্ড কোম্পানিতে অভিযানে যায়।

জানা গেছে, তিন মাস আগে ওই ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজের উদ্দেশে লক্ষ্মীপুরের উত্তর চররমনী গ্রামের বিবিসি ইটভাটাতে
যান ভুক্তভোগি ও তার স্বামী। ইটভাটার পাশেই একটি ঘর ভাড়া নিয়ে তারা থাকতেন বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগি জানিয়েছেন, তার স্বামী এর আগে চট্টগ্রামে আজিমপাড়া এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। পরিচিত একজনের সঙ্গে তিন মাস আগে তারা লক্ষ্মীপুরের একটি ইটভাটায় কাজ করতে শুরু করেন। তিনদিন আগে অজ্ঞাত কোনো কারণে তাদের পরিচিত ওই লোক পালিয়ে গেলে জামাল মাঝি, নিজাম মাঝি ও দিনাজ নামের তিন ব্যক্তি ভূক্তভোগীর স্বামীর কাছে ওই লোকটির সন্ধান চায়। সন্ধান দিতে না পারায় তারা তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। এদিকে, দীর্ঘসময় ঘরে না ফেরায় স্বামীকে খুঁজতে ইটভাটায় যান ভুক্তভোগি। তখন জিজ্ঞেস করলে, তার স্বামীর কাছে টাকা পাবে বলে জানায় ইটভাটা কর্তৃপক্ষ। টাকা পেলেই তাকে ছাড়বে বলেও জানায় তারা। এছাড়া টাকা না দিতে পারলে তাকে তাদের সঙ্গে শারীরীক সম্পর্ক করার কুপ্রস্তাবও দেয়া হয়। পরে ভুক্তভোগি বাসায় চলে যান।

এরপর, গভীর রাতে জামাল মাঝি, নিজাম মাঝি ও দিনাজ ঘরে ঢুকে ভুক্তভোগিকে ধর্ষণ করে। তাদের পর আরও ৩ জন
গিয়ে তাকে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগি।

ভুক্তভোগি আরও জানিয়েছেন, আমরা অগ্রীম কোনো টাকা নেইনি। তবুও তারা আমার স্বামীকে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেছে। আমি ছাড়াতে গেলে তারা আমাকে ধর্ষণ করে। নিরুপায় হয়ে স্থানীয়দের পরামর্শে ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশকে জানিয়েছি। তারা ঘটনাস্থল পৌঁছে আমার স্বামীকে বাঁধা অবস্থায় পেয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগির কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তারা আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।

/এসএইচ



Exit mobile version