Site icon Amra Moulvibazari

হৃদয়ের শুরুর দিনে রনির দাপুটে ফেরা

হৃদয়ের শুরুর দিনে রনির দাপুটে ফেরা


ছবি: সংগৃহীত

একজনের শুরু, আরেকজনের জন্য ৮ বছর আগে বাদ পড়ে ফিকে হতে থাকা ক্যারিয়ারের পুনর্জাগরণ। বিপিএলে দুর্দান্ত খেলার পুরস্কার পেয়ে দলে সুযোগ পান বাংলাদেশের দুই ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় এবং রনি তালুকদার। একাদশে সুযোগ পেয়ে নিজেদের প্রমাণ করলেন এই দুই ব্যাটার। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারানোর পেছনে রাখলেন বড় অবদান। ১৪ বলে ২১ রানের একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন রনি এবং ১৭ বলে ২৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন হৃদয়।

২০১৫ তে অভিষেক হয়েছিল রনি তালুকদারের। এই আনন্দ উদযাপন করার আগেই থেমে যায় রনির ক্যারিয়ার। মাঝখানে কেটে গেছে আটটি বছর। তারমধ্যে বাংলাদেশ খেলেছে ১০৬ টি-টোয়েন্টি।

অবশেষে ঘুঁচলো দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। দলে জায়গা মিলেছে রনির। দলে ডাক পেয়েই নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডের পাতায়। বনে গেছেন সবচেয়ে লম্বা বিরতির পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটার। সময়ের হিসাবেও রনিই বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার ওপরে। দু’টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মধ্যে কেটে গেলো প্রায় সাড়ে সাত বছর। এখানেও তিনি ছাড়িয়ে গেছেন এনামুল হককে।

এবারের বিপিএলে রনির ছিল চোঁখ ধাঁধানো পারফরমেন্স। ১৩ ম্যাচে ৩৫.৪২ গড় আর ১২৯.১৮ স্ট্রাইকরেটে ৪২৫ রান করেন তিনি। এমন ধারাবাহিক পারফরমেন্সই জাতীয় দলের ডেরায় নিয়ে আসে তাকে।

অন্যদিকে, বিপিএলে আলো ছড়ানো তৌহিদ হৃদয়ের অভিষেক হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তিনি বাংলাদেশের ৭৮তম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ডাক পেলেও ওয়ানডেতে ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি হৃদয়ের। তিন ম্যাচের কোনোটিতেই খেলার সুযোগ হয়নি। তাতে অবশ্য হতাশ হওয়ারও কথা নয় তার। কারণ তার জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পেছনে বড় কারণ তো টি-টোয়েন্টিই। আর সেখানে যে তার অভিষেক এই সিরিজেই হবে সেটিও মোটামুটি জানাই ছিল।

বিপিএলের নবম আসরে সিলেটকে ফাইনালে তুলতে বড় অবদান রাখেন হৃদয়। এই টপ অর্ডার ব্যাটার আসরে ১৩ ম্যাচের ১২ ইনিংসে ব্যাটিং করে প্রায় ৩৭ গড়ে করেছেন ৪০৩ রান। যা টুর্নামেন্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ। আসরে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৪০ স্ট্রাইকরেটে। সবচেয়ে বেশি ৫টি অর্ধশতকও তিনিই হাঁকিয়েছিলেন।

/আরআইএম



Exit mobile version