সময়ের সাথে সাথে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। এই গরমে হিটস্ট্রোক, সানবার্ন, ডিহাইড্রেশনসহ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে সাধারণ মানুষ। প্রাপ্ত বয়স্কদেরই যেখানে টিকে থাকা হয়ে উঠেছে বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে শিশুদের সুস্থ্য রাখা আরও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গরমে ডায়ারিয়া, পানিশূন্যতাসহ একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে শিশুরা। তাহলে আপনার শিশুকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে?
প্রচুর পরিমাণ তরল পান করান:
গরমে সুস্থ থাকার প্রধান অস্ত্রই হলো পানি। শিশুকে ঘন ঘন পানি পান করাতে হবে। পিপাসা না লাগলেও কোনো না কোনোভাবে তাকে পানি পান করান। কিছুক্ষণ পর পর ফলের রসও খাওয়ানো যেতে পারে।
আরামদায়ক পোশাক:
এই গরমে ঘামের কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, শিশুর ত্বকে র্যাস দেখা দিতে পারে। তাই আরামদায়ক পোশাক পরানো খুবই জরুরি। হালকা, নরম ও সুতির কাপড় গরমে ঠান্ডা ও আরামদায়ক থাকতে সাহায্য করতে পারে। একেবারে হালকা ওজনের পোশাক পরিয়ে নিন শিশুকে। বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় টুপি ও সানগ্লাস পরিয়ে নিন।
টানা রোদ এগিয়ে চলুন:
এখন গরমের পাশাপাশি রোদের তেজও অস্বাভাবিক। বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রোদ সবচেয়ে বেশি চড়া থাকে। তাই চেষ্টা করুন, এই সময়ের মধ্যে যাতে শিশুকে নিয়ে বাইরে না বের হতে হয়। তবে কোনো কারণে বের হলে আরামদায়ক পোশাক ও ঘন ঘন পানি পান করাতে ভুলবেন না কিছুতেই। সবসময়ের জন্য সাথে একটা ছাতাও রেখে দিতে পারেন। শিশুকে বাইরে বেশি দৌড়াদৌড়ি বা টানা রোদে খেলাধুলা করতে দেবেন না। সম্ভব হলে কিছুক্ষণ পরপর ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিতে পারেন। ঘন ঘন চোখে মুখে পানিও ছিটাতে পারেন। এতে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমবে।
ঘর ঠান্ডা রাখুন:
এই গরমে শুধু সিলিং ফ্যানেই শান্তি মিলছে না। ফলে ঘর ঠান্ডা রাখার বিকল্প উপায় বের করতে হবে। এয়ার কন্ডিশনার না থাকলে টেবিল ফ্যানের সামনে বড় একটি পাত্রে বরফ রাখুন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। এছাড়া ইন্ডোর প্ল্যান্ট রাখলেও ঘর বেশ ঠান্ডা থাকে।
শিশুর শারীরিক লক্ষণের প্রতি বাড়তি সতর্ক থাকুন:
এই গরমে শরীরের নানা অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে আছে পেশীতে খিঁচুনি, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া। এসব লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমেই শিশুকে ঠান্ডা কোনো ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। বিশেষ করে শিশুর যদি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যা থাকে তাহলে এই গরমে বাড়তি সতর্ক থাকুন তার প্রতি।
সূত্র: শিফা ইন্টারন্যাশনাল প্যাশেন্টস
এসজেড/