Site icon Amra Moulvibazari

রুশ-ইউক্রেন সংকট সমাধানে চীনের সহায়তা চায় ফ্রান্স, বেইজিং সফরে যাবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট

রুশ-ইউক্রেন সংকট সমাধানে চীনের সহায়তা চায় ফ্রান্স, বেইজিং সফরে যাবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট


রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চলছে নানামুখী কূটনৈতিক তৎপরতা। সংকট সমাধানে এবার চীনের সহায়তা চাইছে ফ্রান্স। সে লক্ষ্যে বেইজিং সফরে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। খবর আল জাজিরার।

ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহে যখন যুদ্ধের পরিধি ও স্থায়ীত্ব বাড়ার শঙ্কা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তখন মধ্যস্থতার লক্ষ্য জানিয়ে মাঠে নেমেছে চীন। এ লক্ষ্যে ১২ দফা প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি মস্কো সফরের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

শনিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, বেইজিংয়ের আমন্ত্রণে আগামী মঙ্গলবার তিনদিনের সফরে দেশটিতে যাবেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। নিরাপত্তা ইস্যুতে সেখানে আলোচনা হবে। এমন পরিস্থিতিতে চীনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। শনিবার প্যারিসের এক আয়োজনের সাইডলাইনে নিজেই এ কথা জানালেন তিনি। বলেন, এপ্রিলে বেইজিং সফরে যাবেন তিনি।

ম্যাকরন বলেন, শান্তির জন্য সব উদ্যোগই ইতিবাচক। তবে শান্তি তখনই সম্ভব যখন রুশ আগ্রাসন বন্ধ হবে। ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার ও দেশটির আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জনগণের স্বাধীনতাকে সম্মান জানানো হবে। রাশিয়াকে এ বিষয়ে চাপ দিতে চীনের সহায়তা প্রয়োজন। বিশেষ করে যাতে রাসায়নিক বা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার প্রতিহত করা যায়।

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চীনের নিঃশর্ত বা সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নিজের যুক্তি উপস্থাপন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিনকেন। যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে রাশিয়া ইউক্রেনে পুনরায় হামলা চালানোর সুযোগ পাবে বলে জানান ব্লিনকেন। এ পদক্ষেপ সামরিকভাবে মস্কোকে পুনর্গঠনের সুযোগ করে দেয়া বলেও দাবি তার। এর মাধ্যমে একই সাথে অন্য দেশগুলোকেও পরোক্ষভাবে আগ্রাসনের বার্তা দেয়া হবে বলে মনে করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা না জানিয়ে যুদ্ধ বন্ধের এই পদক্ষেপেরও নিন্দা জানান তিনি।

এসজেড/



Exit mobile version