যশোরে তিন প্রবীণ ব্যক্তিকে অপমানের ঘটনায় মনিরামপুরের এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়টি বলা হয়। ছুটি শেষে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। করোনা পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
গ্রামের তিন প্রবীণ ব্যক্তিকে মাস্ক না পড়ে বাজারে আসায় কান ধরিয়ে রাখেন মনিরামপুরের এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান। নিজের মোবাইল দিয়ে সেই দৃশ্যের ছবিও তুলেন তিনি। তিন ব্যক্তিকে অপমানের ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সারা দেশ জুড়ে।
করোনা সতর্কতায় অভিযান চলাকালে শুক্রবার তিন প্রবীণ ব্যক্তিকে শাস্তি হিসেবে কান ধরিয়ে রাখেন এই এসি ল্যান্ড। ছবি মোবাইলে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন তিনি নিজেই। উপজেলার ওয়েবসাইটেও দেখা যায় সেই ছবি। এরই প্রক্ষিতে প্রত্যাহার করা হয় বিতর্কিত এই কর্মকর্তাকে। অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, তার আচরণ মর্মাহত করেছে প্রশাসনকে।করোনা পরিস্থিতিতে মাঠপর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে চাকুরিবিধি মেনে চলার নির্দেশনাও দেন প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর মনিরামপুরের লাঞ্চিত প্রবীণ ব্যক্তিদের বাড়ি যান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা। অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষমা চান তিনি।
বিতর্কিত ওই নারী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করায় স্বস্তি প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।