Site icon Amra Moulvibazari

যখন তখন পেট জ্বালাপোড়া? বড় কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো!

যখন তখন পেট জ্বালাপোড়া? বড় কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো!


ছবি: সংগৃহীত

পেটে জ্বালার সমস্যা বদহজম, গ্যসট্রাইটিসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই অস্বস্তি হয় না এমন মানুষের সংখ্যা হাতেগোনা। সাধারণভাবে এ সমস্যাটি স্থায়ী হয় না। কিন্তু যদি এক সপ্তাহ বা বেশি সময় ধরে গ্যাস্ট্রাইটিস বা পেটের জ্বালায় কেউ ভোগেন তাহলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন।

পেট জ্বালা কেন হয়?

পেট জ্বালা তখনই করে, যখন পেটে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। খুব ঝাল, মশলাদার খাবার খেলে পেট জ্বালা করে। কারণ তখন অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গিয়ে পেট এবং ডিওডিনাম অংশে প্রদাহ হয়। এছাড়াও দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর খেলে জ্বালা হতে পারে।

ব্যাধির উৎস কী?

ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী। হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি নামে ব‌্যাকটিরিয়ার সংক্রমণে পেট জ্বালা করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ থেকে গ‌্যাসট্রাইটিসের সমস‌্যা হতে পারে।

পেইনকিলার আসক্তি: মুঠো মুঠো ‘পেনকিলার’ যারা খান, তাদের ক্ষেত্রে খুব ‘কমন’ সমস‌্যা পেটে জ্বালা। ‘পেনরিলিভার’ বা পেইনকিলারগুলি পরিচিত নন–স্টেরয়েডাল অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস নামে। এগুলির অতি-মাত্রায় সেবনে অ্যাকিউট গ্যাসট্রাইটিস এবং ক্রনিক গ্যাসট্রাইটিস হতে পারে। নিয়মিত যারা খান, তাদের পেটের সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে।

বয়স বেড়ে যাওয়া: বয়স্ক ব্যক্তিদের গ্যাসট্রাইটিস হওয়ার বর্ধিত আশঙ্কা থাকে। কারণ তাদের ‘স্টমাক লাইনিং’ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাতলা হয়। তাছাড়াও তাদের হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অল্পবয়স্কদের তুলনায় বেশি হয়।

অতিরিক্ত মদ্যপান: অ্যালকোহল সেবনে ‘স্টমাক লাইনিং’ ক্ষয়ে যায়। ফলে পেট বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচকগুলির প্রতি অতি-সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত মদ্যপানে অ্যাকিউট গ্যাসট্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

তীব্র মানসিক চাপ: কোনো অস্ত্রোপচার বা আঘাত বা অগ্নিদগ্ধ হওয়া কিংবা কোনো বড় ধরনের সংক্রমণের পর প্রচণ্ড মানসিক এবং শারীরিক চাপ তৈরি হয়। তার থেকেও অ্যাকিউট গ্যাসট্রাইটিস ও পেট জ্বালা হয়।

পরিত্রাণ পেতে যেসব নিয়ম মেনে চলা যেতে পারে-

১) ‘ট্রিগার’ ফুড যেমন ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, তেল-মশলাদার খাবার বর্জন করুন। ধূমপান থেকেও দূরে থাকুন।
২) টকজাতীয় খাবার কম খান।
৩) রাতে বেশি দেরিতে খাবার খাবেন না। খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়া ঠিক নয়।
৪) নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে অল্প খান। একেবারে বেশি খেয়ে ফেলবেন না।
৫) মানসিক চাপ, অবসাদ যতটা সম্ভব কম করুন।
৬) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৭) বেশি করে পানি খান।
৮) খুব কষ্ট হলে, নিরাময় পেতে লাইম সোডা খেতে পারেন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো কোনো লিকুইড অ্যান্টাসিড বা ট্যাবলেট অ্যান্টাসিডও চলতে পারে।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
ইউএইচ/



Exit mobile version