আখাউড়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চলছে ঘুষের রাজত্ব। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) মো. ফরহাদ মিয়াকে ঘুষ না দিলে কোনো ফাইল নড়ে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সেখানে দালাল দিয়ে কাজ হাসিল করতে হয়, অনেক সময় এ পন্থাতেও ভোগান্তির অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
নাম প্রস্তাব, সার্ভে রিপোর্ট, নামজারি, ডিসিআর সংগ্রহ, মিস কেস ও খাজনা দাখিল থেকে শুরু করে সম্পত্তি নামজারি করতে মোগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলেই ঘুষ চাওয়া হয় বলে দাবি সাধারণ কৃষকদের। প্রতিটি নামজারির ক্ষেত্রে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের নামে নেয়া হয় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। আর এসব ঘুষ বাণিজ্য এখানে এক প্রকার ‘ওপেন সিক্রেট’।
অবশ্য এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) মো. ফরহাদ মিয়া দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে মোগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত আছেন। বেপরোয়া ওই তহসিলদারের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ঘুষ বাণিজ্য। ঘুষ না পেলে ফাইল ছাড়েন না তিনি, তার বিরুদ্ধে উঠেছে এমন অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তিনি একজনের জমি আরেকজনকে খারিজ দিয়ে চেক কাটেন এবং সংশোধনের নামে মোটা অংকের টাকা দাবি করে থাকেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মোগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদারের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ। ভূমি অফিসে গিয়ে তারা অসহায় হয়ে পড়েন। অনেকেই দালালদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। অনেকে আবার টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। দালাল টাকা নিয়েছে ঠিকই, তবে কাজ হয় না মোটেও।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. ফরহাদ মিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করেন। তিনি বলেন, তার অফিসে ঘুষের কোনো লেনদেন হয়না।
অন্যদিকে, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোভাবেই মেনে নেয়া যাবে না। যদি কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এসজেড/