দেশে করোনা রোগীর শনাক্তের পর রাজধানী জুড়ে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সংকট দেখা দিয়েছে। পাড়া মহল্লার ফার্মেসী এবং দোকানগুলোতে যাও মিলছে তারও দাম রাখা হচ্ছে বেশি। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম তাই সংকট দাবি ব্যবসায়ীদের। করোনা ভাইরাসটি জনমনে আতঙ্কের পাশাপাশি আছে সতর্ক হবার চেষ্টা ।
ঢাকা বিমান বন্দরে করোনার প্রাথমিক পরীক্ষা যথাযথ ভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিদেশ ফেরত যাত্রীদের। ঔষুধের দোকানগুলোতে সাধারণ মানুষের ভীড়। রবিবার করোনা শনাক্তের পর আরেক দফা বেড়ে গেছে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রীর দাম।বাজারে এখন মিলছেই না হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সংকট আছে হ্যান্ড ওয়াশের উপকরণেও। মাস্কের চাহিদা আকাশচুম্বী। বেশি দামে ও মিলছে না।
ফার্মেসী বিক্রেতারা বলছেন, সকালে আমরা সব সেল করে ফেলেছি। আর বিকালে মানুষের চাপটা বেশি। আসলে আমাদের কাছে এখন কিছুই নেই। আর ভুক্তভোগিরা বলেছেন , হ্যান্ড স্যানিটাইজার কোথা ও খুঁজে পাওয়া যায়নি। গুলশান, বনানীসহ অনেক স্থানে খোঁজ করে ও মিলে নি কিছু। মানুষ বলছে বর্তমানে মাস্ক ও হ্যান্ড ওয়াস সামগ্রী মোটামুটি মিলছে না।
রাজধানীতে ফুটপাত, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে জনপরিবহনসহ সব জায়গায় আলোচনার বিষয় এখন করোনা ভাইরাস। সাধারণ মানুষদের মধ্যে রোগটি নিয়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকার পাশাপাশি পরিহার করতে হবে জনসমাগম।
আবার সাধারণ মানুষরা বলছেন , করোনার ভাইরাসের প্রভাব পড়তে শুরু করছে নিত্য প্রয়োজনীয় থেকে শুরু করে সব ধরনের মালামালেই ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ২৪ ঘন্টাই বিদেশ থেকে যাত্রীরা আসছেন। তবে বিমান বন্দরে যথাযত ভাবে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে না অভিযোগ যাত্রীদের। যাত্রীরা আরো ও বলেন, কোনো রকম টেস্টের কি পরীক্ষা কিছুই করা হচ্ছে না। তাপমাত্রা পর্যন্ত মাপা হয় না। এয়ারপোর্ট থেকে বের হবার সময় কর্তৃপক্ষ কিছুই বলেনি। হাজার হাজার যাত্রীরা আসছেন একটি গেইট দিয়ে, নেই কোনো রকম পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা কীভাবে এয়ারপোর্ট হতে অতিক্রম করলো তা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ। করোনা ভাইরাস শনাক্তে আরোও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ যাত্রীদের।