Site icon Amra Moulvibazari

বন্যার পানি কমছে, দুর্ভোগ-দুশ্চিন্তা বাড়ছে

বন্যার পানি কমছে, দুর্ভোগ-দুশ্চিন্তা বাড়ছে


নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ ও শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। পানি দ্রুত কমতে শুরু করেছে। তবে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি এখনও পানিবন্দি রয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।

নেত্রকোণায় কংস, সোমেশ্বরী, ধনুসহ সবকটি নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে কলমাকান্দায় নৌকা ডুবে এক শিশুসহ দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ৫ উপজেলায় বিপর্যস্ত হয়েছে ২৭টি ইউনিয়ন। ক্ষতিগ্রস্ত দেড় লক্ষাধিক মানুষ। ভেসে গেছে দেড় শতাধিক পুকুরের মাছ। প্রায় ৩শ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে আছে এখনও।

উন্নতি হয়েছে ময়মনসিংহের বন্যা পরিস্থিতির। তবে খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট কাটেনি। শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করছেন অনেকে। গো খাদ্য সংকটে গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বানভাসিরা। বন্যায় তলিয়ে গেছে তিন উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।

এদিকে, শেরপুরেও বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি সরে যাওয়ায় বাসা-বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে বিধ্বস্ত ঘর বসবাসের উপযোগী নেই। মাথা গোজার ঠাঁই হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে অনেকে।

এছাড়া গতকাল বিকেলে নালিতাবাড়ী উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত আট দিনে ঢলের পানিতে ডুবে ১১ জনের মৃত্যু হলো।

/এমএইচ



Exit mobile version