চরম গোলাবারুদের সংকটে যুদ্ধের ময়দানে কঠিন সময় পার করছে ইউক্রেনীয় সেনারা- আবারও এ অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। তার দাবি, এ দুরাবস্থার সুযোগ নিয়ে দোনবাসের শিল্পাঞ্চলের দখল নিতে নতুন কয়েকটি শহরে হামলা করেছে মস্কো। শুক্রবার চালানো রুশ হামলায় অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর কথাও জানিয়েছে কিয়েভ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) মধ্যরাতে হঠাৎ দোনেৎস্কের একটি আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে রুশ বাহিনীর ছোড়া মিসাইল। মুহূর্তেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় এলাকাটি। ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে একাধিক আবাসিক ভবনে। ফায়ার সার্ভিসের তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টায় দুজনের প্রাণ বাঁচলেও সেখানে মারা গেছেন তিন নারী।
শুক্রবার সারা দিন-রাতভর দোনেৎস্কে তাণ্ডব চালিয়েছে রুশ বাহিনী। কিয়েভের দাবি, এদিন দোনেৎস্ক, সামিসহ বিভিন্ন অঞ্চলে হওয়া রুশ আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ বেসামরিক নাগরিক। বেসামরিক স্থাপনা ছাড়াও আশ্রয়কেন্দ্র, জরুরি পরিসেবাকেন্দ্রেও দফায় দফায় মিসাইল ছুঁড়েছে রুশ সেনারা।
এ প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, গতকাল সারাদিনে বেশ কয়েকটি শহরে তীব্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। এতে অনেক বেসামরিক হতাহত হয়েছেন। দখলদারদের বলতে চাই, ইউক্রেনের সেনারা এ বর্বরতা মেনে নেবে না। সেনারা যেভাবে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন, তাদের নিয়ে আমরা গর্বিত।
জেলেনস্কি প্রশাসন বলছে, গোলাবারুদের তীব্র সংকটে ফ্রন্টলাইনে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন ইউক্রেনের সেনারা। এমন পরিস্থিতির মাঝেই দোনবাসের শিল্পাঞ্চলের দখল নিতে নতুন শহরে হামলা শুরু করেছে দখলদাররা। যা প্রতিহত করা কঠিন হয়ে পড়েছে কিয়েভের জন্য।
জেলেনস্কি আরও বলেন, গত এক বছর ধরে সামরিক সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মিত্রদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনে গোলাবারুদের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। রুশ আগ্রাসন রুখতে যত দ্রুত সম্ভব গোলাবারুদ সরবরাহের আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, বাখমুতের দখল নিয়ে দুপক্ষের তুমুল লড়াই এখনও অব্যাহত। তবে গোলাবারুদ সংকট ও রুশ আগ্রাসনের মুখে খানিকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা। রেড ক্রস বলছে, হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত শহরটি ছেড়েছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
/এসএইচ