তুরস্ক ইউরোপমুখী সীমন্ত খুলে দেয়ায় গ্রিস ও বুলগেরিয়া অভিমুখে ঢল নেমেছে তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সকল শরণার্থীদের। আঙ্কারা সীমান্ত খুলে দেয়ায় দুদিনের মাথায় ইউরোপে প্রবেশ করেছে প্রায় বিশ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী শরণার্থী।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে গ্রিস ও বুলগেরিয়া। তুরস্কের অভিযোগ শরণার্থীদের রক্ষণাবেক্ষণে ইউরোপ পর্যাপ্ত সহায়তা না দেয়ার কারণে সীমান্ত খুলে দেয়ার এ সিদ্ধান্ত।
কোনো আশ্রয় আর মাথা বুজার টাঁই না থাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্ঠা করছেন অনেক শলণার্থী।
ইউরোমুখী সীমান্ত খুলে দেয়ার পর থেকে গ্রীস সীমান্তে ঢল নেমেছে তুরস্কে বসবাস করা শরণার্থীদের। গেল দুদিনে সীমান্ত পার হয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। যে যেভাবে পারছে টাঁই নিচ্ছেন তুরস্ক সংলগ্ন গ্রীস সীমান্তে। লক্ষ্য ইউরোপে প্রবেশ।
যুদ্ধের কারণে দেশ ছাড়া অনেক শরণার্থী জীবনের মায়া ভুলে গিয়ে পারি দিচ্ছেন ইউরোপে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে গ্রীস ও বুলগেরিয়া। সীমান্ত পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনীও। সীমান্তে অপেক্ষমান অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তা বাহিনীর।
সিরিয়া সহ বিভিন্ন দেশের ৩৭ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেয় তুরস্ক। ইউরোপে আশ্রয় প্রার্থীরা যাতে সেখানে প্রবেশ করতে না পারে ইইউ এর সাথে চুক্তিও হয় আঙ্কারার। তবে তুরস্ক বলছে চুক্তি অনুযায়ী যথেষ্ঠ সহায়তা পাওয়া যায় নি ইউরোপের তরফ থেকে। সেকারণেই সীমান্ত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত।
সিরিয়ান সেনাদের হামলায় ৩৩ তুর্কি সেনার মৃত্যুর পর এই সিদ্ধান্ত এলো আঙ্কারার তরফ থেকে। ইদলিব সহ বিভিন্ন এলাকায় সিরিয়ান সেনাদের সাথে পুরোদস্তুর যুদ্ধ চলছে তুরস্কের। এরই ভধ্যে তুর্কি সেনাদের হামলায় প্রাণ গেছে শতাধিক সিরিয়ান সেনার।