Site icon Amra Moulvibazari

সাংবাদিকদের কটাক্ষ করে ক্ষমা চাইলেন কাজী সালাউদ্দিন

সাংবাদিকদের কটাক্ষ করে ক্ষমা চাইলেন কাজী সালাউদ্দিন


ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও থেকে নেয়া ছবি।

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দীনের ঔদ্ধ্যত্ত যেন চরমে পৌঁছেছে। বাফুফেতে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের ‘বাপের জুতা পড়া’ ছবি পাঠাতে হবে- এমন মন্তব্যই করেছেন তিনি। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ এসেছে সাংবাদিকদের হাতে। পদস্থ একজন ব্যক্তির এমন আপত্তিকর মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ ও হতাশ সাংবাদিক সমাজ। অবশ্য বিষয়টি প্রকাশের পর কাজী সালাহউদ্দীনের ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও পাঠানো হয় বাফুফে থেকে।

কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকরা। এতে সাংবাদিকদের ওপর বেজায় চটেছেন সালাউদ্দিন। কিছুদিন আগে আর্থিক দুর্নীতির দায়ে ফিফা কর্তৃক বাফুফের সাবেক সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। এরপর যেন সাংবাদিকদের ওপর সালাউদ্দিনের ক্ষোভ আরও বেড়ে গেছে।

যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

এরইমাঝে মঙ্ঙ্গলবার (২ মে) বসে বাফুফের বোর্ড মিটিং; সে বিষয়ে জানাতেই ডাকা হয় সংবাদ সম্মেলন। কিন্তু, মিটিংয়ের আগেই সাংবাদিকদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন কাজী সালাহউদ্দিন। কিন্তু, বিধি বাম! ফোনে রেকর্ড হয়ে যায় সেটি।

ওই অডিও ক্লিপে সাংবাদিকদের সম্পর্কে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দীন বলতে শোনা যায়, বাফুফেতে সাংবাদিক প্রবেশ করতে হলে বাবার ছবি লাগবে। জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে তাদের আমার এখানে ফটো দিতে হবে তাদের বাপ-মা’র। আরেকটা কন্ডিশন হলো, তার বাপের ফটো পাঠাবে, জুতা পরা। ঠিক আছে? এটা হতে হবে মেন্ডেটরি। বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।

এমন অডিও ক্লিপ সাংবাদিকদের হাতে গেছে জানার পর নড়েচড়ে বসেন বাফুফে সভাপতি। দ্রুতই ফোনে রেকর্ড করে ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও পাঠান গণমাধ্যমের কাছে।

সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দীন বলেন, আমি দেখছি যে আমি জার্নালিস্টদের হার্ট (আঘাত) করে কথা বলেছি। আসলে আমি জার্নালিস্টদের আঘাত করার জন্য কিছু বলিনি। আমি আসলে নাবিলের সাথে একটা জোক (কৌতুক) করছিলাম। এটা আমাদের ইনসাইড জোক ছিল। সেটা যে কেউ রেকর্ড করছিল সেটা আমি জানতাম না। আমি যদি কাউকে দুঃখ দিয়ে থাকি তার জন্য আমি দুঃখিত। আমি ক্ষমা চাই।

প্রসঙ্গত, আজ হয়তো সংবাদ সম্মেলনের আগে রাখা ফোনে রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু অন্যদিন, অন্যকোথাও, অন্য আড্ডায় হয়তো সাংবাদিকরা কাজী সালাহউদ্দিনের কাছে হয়ে উঠেন আরও হাস্যকর!

/এসএইচ



Exit mobile version