ঈদের মৌসুমে সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েছে। রাজধানীতে হাড়সহ গরুর মাংসের কেজি সাড়ে ৬০০ টাকা। আর হাড় বাদে কিনলে লাগবে আরও ৫০ টাকা। সাড়ে ৯০০ টাকার নিচে মিলছে না খাসির মাংস। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই দামেও তাদের লাভ হচ্ছে না। চাহিদার তুলনায় গরু ও খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে কম। বাধ্য হয়ে পোল্ট্রিতে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। সুখবর নেই সেখানেও।
নিম্নবিত্তের পাত থেকে গরু-খাসির মাংস গায়েব হয়েছে বহু আগেই। দোকানে গ্রাহক মানেই উচ্চবিত্ত। রমজানে তাদের দেখা মেলে হাতেগোনা সময়ে। কিন্তু বাজারের চড়া দামে কোনো পরিবর্তন নেই।
তাই বাধ্য হয়ে পোল্ট্রি দোকানে মুখ ঘোরাচ্ছেন ক্রেতারা। সেখানেও বিপত্তি। ৫ দিন আগেও কারওয়ানবাজারে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। এখন সেই দাম ৩০ টাকা বেশি। ৩শ টাকার নীচে সোনালী জাতের মুরগি দিচ্ছেন বিক্রেতারা। তাদের ব্যাখা, ঈদের আগে মুরগি বেশি নিচ্ছেন সবাই। তাই দাম বাড়ছে খামার থেকেই।
প্রতি ঈদের আগে মশলার দাম বাড়লেও এবারে সে লক্ষণ কম। ক্রেতার আনাগোনা কম। উলটো ১ হাজার ৩০০ টাকায় নেমে গেছে এলাচের কেজি। তবে জিরার দাম চড়া। ঈদের ডেজার্টের জন্য চাহিদা বেড়েছে পেস্তা, কাজু বাদাম আর কিসমিসের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদে প্রয়োজনীয় মসলা আগেই আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাই নতুন করে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। মুদি বাজারে ঈদের কেনাকাটার মূল চাপ পড়বে ২৭ রমজানের পর।
এসজেড/