আরও একবার ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে শূন্য হাতে ফিরলো লিওনেল মেসি। ২০১৫ সালে শেষ বার বার্সেলোনার হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি জিতেছিলেন ফুটবলের এই মহাতারকা। এরপর ৮টি বসন্ত পেরিয়ে গেলেও চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার স্বাদ পাননি এলএমটেন। এবার সুযোগ ছিল। কিন্তু পারলেন না। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে গেলো পিএসজি। মেসির মতো পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। গোটা ম্যাচে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন এই ফ্রেঞ্চ তারকা।
মেসি এখনও পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন চারবার। ২০০৬, ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৫—এ চারবার জিতেছেন কাতালোনিয়ান ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে। কিন্তু ২০১৫ সালের পর বার্সেলোনাতে আরও পাঁচ মৌসুম খেলেও দলকে আর ইউরোপ সেরা করতে পারেননি। চ্যাম্পিয়নস লিগ এ মুহূর্তে মেসির জন্য বড় আক্ষেপ। কয়েকদিন আগেও পিএসজির ওয়েবসাইটে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছিলেন যে, আমি প্যারিসের হয়ে শিরোপা জিততে চাই। মৌসুমের শুরুতে যেসব বড় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যস্থির করেছি, সেগুলো জিততে চাই।
কিন্তু এবারেও ব্যর্থ, ইউরোপ সেরার আসরে খালি হাতে ফিরতে হলো ফুটবল জাদুকরকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিনের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় পিএসজি। চোটের কারণে দলে ছিলেন না নেইমার। কিন্তু এমবাপ্পে, মেসি দু’জনেই ৯০ মিনিট খেলেছেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে একার দক্ষতায় ফ্রান্স দলকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু ক্লাবের হয়ে সেটা করতে পারেননি তিনি। মেসিও ডেডলক ভাঙতে পারেননি।
প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে পিএসজি হেরেছিল ১-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলে ব্যবধানে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে পিএসজিকে। ফুটবল বিশ্বে তিন বড় তারকা নেইমার-মেসি-এমবাপ্পে আবারও ব্যর্থ হন। গোটা বিশ্বকাপটাই নিজেদের করে নেয়া মেসি আর এমবাপ্পে চ্যাম্পিয়নস লিগে সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেও পিএসজিকে সাফল্য দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
/আরআইএম