ঈদের আগ মুহূর্তে নদী ভাঙনে দিশেহারা মানিকগঞ্জের যমুনা পাড়ের মানুষ। গত কয়েকদিনের ভাঙনে বিলীন হয়েছে অনেকের বসতভিটা আর ফসলি জমি। হুমকির মুখে বহু স্থাপনা। পরিবার-পরিজন নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।
স্বপ্নের সোনালী ধান আর ঘরে তোলা হলো না শিবালয়ের আলোকদিয়া চরের কৃষক তোফাজ্জল হোসেনের। হঠাৎ নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বোরো ক্ষেত। তাই কাঁচা ধানই কেটে নিচ্ছেন। তার মতো একই অবস্থা নদী পাড়ের বহু মানুষের।
গত কয়েকদিনে যমুনার ভাঙনে আলোকদিয়া চরে বিলীন হয়েছে বিঘার পর বিঘা ফসলি জমি। নদীতে গেছে অনেকের ভিটেমাটি। শেষ সম্বলটুকু নিয়ে অনেকে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। ঈদের আগে এমন দুর্যোগে দিশেহারা চরের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা বলছেন, ড্রেজিংয়ের কারণে এমন ভাঙনের সৃষ্টি হতে পারে। ৩ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ১ কিলোমিটারই নদী ভাঙনে বিলিন হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তারা।
আলোকদিয়া চরে চলছে মুজিব কেল্লাসহ সরকারের কয়েক কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প। বর্ষার আগেই নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে ঘরবাড়িসহ এসব স্থাপনা। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জনপ্রতিনিধিদের।
এ বিষয়ে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিয়ে আলোকদিয়া চরে নেয়া সরকারি প্রকল্পগুলো ব্যহত হবে বলে মন্তব্য করেছেন তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হলেও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, যারা মেম্বার আছেন তাদের সাথে আমরা কথা বলেছি। তাদের কাছে নিশ্চই তালিকা তৈরি করা আছে, সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেবো।
শিবালয়ের মতো জেলার হরিরামপুর ও দৌলতপুর উপজেলাতেও এবার বর্ষা শুরুর আগেই পদ্মা-যমুনায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এসজেড/