Site icon Amra Moulvibazari

হিজাব না পরায় ইরানে দুই নারীর মাথায় ছোড়া হলো দই; গ্রেফতার ৩

হিজাব না পরায় ইরানে দুই নারীর মাথায় ছোড়া হলো দই; গ্রেফতার ৩


ছবি: সংগৃহীত

নজিরবিহীন আন্দোলন-সহিংসতার রেশ না কাটতেই আবারও হিজাব ইস্যুতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ইরানে। হিজাব না পরার অভিযোগে একটি দোকানে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন দুই নারী। তাদের ওপর এক ব্যক্তির চড়াও হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দেখা গেছে, দুই নারীর মাথায় দই ছুড়ে মারছেন সেই হামলাকারী। পোশাক বিধি লঙ্ঘনের দায়ে পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয় ওই দুই নারীকে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গ্রেফতার করা হয় হামলাকারীকেও। বিবিসির খবর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি দোকানে আগত দুই নারী ক্রেতার ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন এক ব্যক্তি। চুল ঢেকে না রাখায় ভর্ৎসনা করেন তাদের। এক পর্যায়ে তাদের মাথায় ছুড়ে মারেন দই! তারপর, আক্রমণকারীকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন দোকানদার।

এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তিনজনের বিরুদ্ধেই জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। আটকও করা হয় তিনজনকে। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে দেশটিতে। হিজাব ইস্যুতে মনে সংশয় থাকলেও আইন মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। তিনি বলেন, কেউ যদি আমাদের বিশ্বাস ধারণ না করে, এ বিষয়ে আলোচনা বা বোঝানোর চেষ্টা করা যায়। আর এটাতেই জোর দেই আমরা। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, আমাদের একটি আইন আছে। আর সবার ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য। হিজাবের সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী না হলেও আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যা একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ সমাজ তৈরি করে।

ছবি: সংগৃহীত

ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর তৈরি শরিয়া আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মেনে চলা হয় নারীদের পোশাক বিধি। নিয়ম ভাঙলে প্রকাশ্য ভর্ৎসনা, জরিমানা এমনকি গ্রেফতারের নিয়মও রয়েছে।

গত বছর সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহশা আমিনীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল পোশাক বিধি লঙ্ঘনের দায়ে। পরে পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হলে দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র বিক্ষোভ-সহিংসতা। আটক করা হয় হাজার হাজার ইরানিকে। ফাঁসিও কার্যকর হয়েছে চারজনের।

/এম ই



Exit mobile version