শাহ জালাল সহ দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে প্রথমবারের মতো বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক বডি স্ক্যানার।
এখন থেকে অস্ত্র, বিস্ফোরক বা ক্ষতিকর কিছু শরীরের ভিতর লুকিয়ে উড়োজাহাজে উঠতে পারবেন না যাত্রীরা। এতে নিরাপত্তা ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি যাত্রীদের হয়রানিও কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে উন্নত স্ক্যানারের পাশাপাশি নিরাপত্তা কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও তদারকি জরুরি বলেও মনে করেন তারা।
তিন ধাপে নিরাপত্তা বেষ্ঠনি পেরিয়ে একজন যাত্রী উড়োজাহাজে চড়েন। প্রথমে টার্মিনালে প্রবেশধারে মেটাল ডিটেক্টরে দেহ তল্লাশির পর ডুয়েল ভিউ স্ক্যানারে লাগেজ স্ক্যানিং হয়। বিমানে উঠার আগে বোর্ডিং গেট এ হয় সর্বশেষ চেকিং।
যেখানে সঙ্গে থাকা সব জিনিস খুলে হ্যানড লাগেজ স্ক্যানিং এ দেয়ার পর পার হতে হয় আর্চ ওয়ে।
যা যাত্রীর শরীরে কোনো ধাতব বস্তু থাকলে সিগন্যাল দেয়। তবে শরীরে অধাতব বা বিস্ফোরক জাতীয় কোনো কিছু লুকানো থাকলে সেটা শনাক্ত করতে পারে না।
এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে খেলনা পিস্তল সাথে নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্ঠা করেছিলেন পলাশ।
তাই নিরাপত্তা ঝুকি মোকাবেলায় এবার বসানো হয়েছে Pro Vision 2 নামের অত্যাধুনিক বডি স্ক্যানার। এই স্ক্যানারে দেহের কোনো অংশে কিছু লুকানো থাকলে সেটি দৃশ্যমান হবে।
তবে স্ক্যানার অপরেটর আর ইমেজ মনিটরিং এ দক্ষ না হলে উন্নত স্ক্যানার বসিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
শাহ জালাল বিমান বন্দরে আন্তর্জাতিক টার্মিনালে চারটি বোর্ডিং গেটে চারটি এবং চট্টগ্রামে শাহ আমানত ও সিলেটে ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসানো হয়েছে একটি করে স্ক্যানার।
জাইকা থেকে পরিচালনা পদ্ধতির গাইডলাইন পাওয়ার পর এই স্ক্যানার গুলো চালু করা হবে।
বেরিয়ে এসেছে পাপিয়ার বস্তা ভর্তি টাকার রহস্য | Shamima Nur Papiya
Our Facebook Page : আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari
বডি স্ক্যানার বডি স্ক্যানার