Site icon Amra Moulvibazari

দিল্লিতে মুসলিমদের উপর চলছে বিজেপির হামলা; মসজিদে আগুন

দিল্লিতে মুসলিমদের উপর চলছে বিজেপির হামলা; মসজিদে আগুন

মুসলিমদের উপর হামলা

ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ’র বিরোধিতায় অগ্নিগর্ভ দিল্লি। কারফিউ চললেও অব্যাহত বিক্ষোভ আন্দোলন।

বুধবার সকালেও হাসপাতালে চিকিৎসারত চার জনের মৃত্যু হয়। আর এ নিয়ে গেল তিন দিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো ১৭ জনে আহত দেড় শতাধিক।
এর মধ্যে ৭০ জনই গুলিবিদ্ধ।

দিল্লি সহিংসতা কতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তা স্পষ্ঠ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলো থেকে দেখা যাচ্ছে। ভারতের গণমাধ্যম গুলোকে সহিংসতার ভিডিও টিভিতে প্রচার না করতে জানানো হলেও থামানো যায় নি অনলাইন মাধ্যম গুলোকে।
মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে এসব ভিডিও।

দিল্লিতে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর চড়াও হয় বিজেপি ও বজরং দলের সদস্যরা। নাগরিকতাব আইনের বিরোধিতা করে সোমবার রাত থেকেই উত্তপ্ত দিল্লির পরিস্থিতি।

সিএএ সমর্থক ও বিরোধি দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় পরিণত হয় সংঘাতে। এ সময় টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ পাল্টাপাল্টি সহিংসতায় হতাহত হন বহু মানুষ।

মঙ্গলবার রাতে ভাইরাল হওয়া কিছু ভিডিওতে দেখা যায় বিজেপির সমর্থরা সংখ্যালগু ও মুসলমানদের ঘরবাড়ি ও স্থাপনাতে হামলা চালায়। চলে লুটপাঠেও।

দিল্লির অশোকনগরে একটি মসজিদে হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। আগুন লাগিয়ে দেয় মসজিদের ভেতরে। আযান দেয়ার মাইক ভেঙে ফেলে। মসজিদের মিনারে টাঙায় তাদের দলীয় পতাকা।
এছাড়া চলছে বিভিন্ন এলাকায় মুসলমানদের উপর নির্যাতন।

“স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অমিত শাহ পুরোপুরি ব্যর্থ। নাহলে রাজধানী দিল্লি এমনভাবে কেন জ্বলবে। জামিয়া, নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় সব এখন অগ্নিগর্ভ। এটা সরকারের ব্যর্থতা” বলে জানান ভারতের পার্লামেন্টের সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

এমন পরিস্থিতিতে নামানো হয় আধা সামরিক বাহিনী। জাফরাবাদ, গোকুল পুর, বুজপুর সহ অন্তত দশ এলাকায় জারি করা হয় সতর্কতা।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, “এ ধরণের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এখন এই মুহুর্তে দলীয় রাজনীতির সময় নয়। তাই সব দল ও এর নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ সহিংস না হয়ে এক সাথে আলোচনায় বসে সংকটের সমাধান করুন।”

দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র এম এস রানধাওয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যেকোনো ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। সেই মোতাবেক কাজ করছে তারা। অস্থিতিশীলতা ঠেকানো এখন দিল্লি পুলিশের মূল লক্ষ।”


আরো পোস্টঃ  এক সঙ্গে বুড়িগঙ্গা দখল করলো আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র দুই নেতা | BIWTA


Our Facebook Page : আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari

Exit mobile version