‘মে দিবসে’ গাধার প্রতি সম্মাননা জানালো মেক্সিকোর ওতুম্বা শহরের বাসিন্দারা। মানুষের প্রয়োজনে কর্মঠ এ প্রাণীটির অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে গত ছয় দশক ধরেই চলছে এ আয়োজন। খবর এপি’র।
গাঁধার খাটুনি! হাড় ভাঙা পরিশ্রমকে এ প্রবাদ দিয়েই ব্যাখ্যা করেন অনেকে। পরিশ্রমী প্রাণী গাধার অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রতি বছরের মতো এবারও মেক্সিকোর ওতুম্বা শহরের বাসিন্দারা আয়োজন করেন এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের। আয়রন ম্যানসহ বিভিন্ন থিমে রং বেরংয়ের পোশাকে এদিকে দেখা গেছে গাধা। ঐতিহ্যবাহী বার্ষিক এ উৎসবে যোগ দিতে জড়ো হন হাজারো মানুষ। গাধার পিঠে চড়ে চলে পোলো খেলাও।
কৃষিনির্ভর এ অঞ্চলটির জীবিকার সাথে একসময় ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল গাধা। মেশিনের এ যুগে খুব একটা ব্যবহার না হলেও, এখনও কৃষকের উপকারী বন্ধু হিসেবে বিবেচিত এ প্রাণীটি। মেক্সিকোর এ অঞ্চলে তাই গাধাকে দেয়া হয় বিশেষ মর্যাদা। বিলুপ্তির হাত থেকে গাধা রক্ষায় সচেতনতা তৈরিও এ উৎসবের অন্যতম লক্ষ্য।
ওতুম্বার মেয়র বলেন, এটা আমাদের পুরোনো ঐতিহ্য। এটাকে এ ধরনের প্রাণী সংরক্ষণের একটা উদ্যোগও বলা যায়। কারণ, এখানকার অন্যতম ঐতিহ্য গাধা। গাধা এখন অনেক স্থানেই বিলুপ্ত। আমরা প্রজাতিটি টিকিয়ে রাখতে চাই।
প্রসঙ্গত, মেক্সিকোর এ ডাংকি ফেস্টিভালের সূচনা হয় ১৯৬৫ সালে। তখন থেকে প্রতিবছরই মহাআড়ম্বরে পালিত হচ্ছে গাধাকে সম্মান জানানোর এ উৎসব।
/এসএইচ