Site icon Amra Moulvibazari

চাষাঢ়ায় আ.লীগের অফিসে বোমা হামলার ২১ বছর

চাষাঢ়ায় আ.লীগের অফিসে বোমা হামলার ২১ বছর


নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের অফিসে বোমা হামলার ২১ বছর আজ। ২০০১ সালের এই দিনে বর্বরোচিত এই হামলা চালানো হয়। বোমা হামলায় প্রাণ হারান ২০ জন। আহত হন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ অর্ধশত মানুষ।

বর্তমানে আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। অভিযোগ, ঘটনার দীর্ঘ ২১ বছর পরও মামলার বিচারকাজ চলছে ধীরগতিতে। এ কারণে হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহতদের পরিবার।

বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড ভারতে আটক মোরসালিন ও মোত্তাকীনকে ঢাকায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলার মূল কারণ বের করার তাগিদ দেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তবে সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

সেদিনের ঘটনায় নিহত হয়েছিল শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল হাসান বাপ্পী, সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের সাবেক জিএস আকতার হোসেন ও তার ভাই সঙ্গীত শিল্পী মোশাররফ হোসেন মশু, সঙ্গীত শিল্পী নজরুল ইসলাম বাচ্চু, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভাসানী, নারায়ণগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ বি এম নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইদুর রহমান সবুজ মোল্লা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পলি বেগম, ছাত্রলীগ কর্মী স্বপন দাস, কবি শওকত হোসেন মোক্তার, পান সিগারেট বিক্রেতা হালিমা বেগম, সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার রাজিয়া বেগম, যুবলীগ কর্মী নিধু রাম বিশ্বাস, আব্দুস সাত্তার, আবু হানিফ, এনায়েতউল্লাহ স্বপন, আব্দুল আলীম, শুক্কুর আলী, স্বপন রায় ও অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী।

জানা গেছে, ১৬ জুন বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলার একটি হত্যা ও অপরটি বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা। দুটি মামলার বাদী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। মামলাটি এখন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচারাধীন।

ইউএইচ/



Exit mobile version