Site icon Amra Moulvibazari

মুশফিকের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

মুশফিকের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড


ছবি: সংগৃহীত

৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের রেকর্ডের ছড়াছড়ি। বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক এখন মুশফিকুর রহিম। মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ঝড়ো সেঞ্চুরি ও লিটন-শান্ত’র জোড়া ফিফটিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ পেয়েছে টাইগাররা। ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান করে আইরিশদের সামনে বিশাল সংগ্রহ জমা করেছে টাইগাররা।

আজ (২০ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম-লিটন। ৬ ওভারে ১৪ রান তোলা বাংলাদেশ পরের দুই ওভারে নেয় ১৬ রান। তামিম-লিটনরা থিতু হয়ে দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন। কিন্তু দলীয় দশম ওভারে ঘটে বিপত্তি। মার্ক অ্যাডেয়ারের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন ৩১ বলে ৪ চারে ২৩ রান করা তামিম।

ছবি: সংগৃহীত

৪২ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর হাল ধরেন লিটন আর শান্ত। ক্যারিয়ারের ৮ম অর্ধশতক হাঁকিয়ে লিটন আভাস দিচ্ছিলেন বড় রানের। শান্তকে সাথে নিয়ে ৯৪ বলে শত রানের জুটি পূর্ণ করেন। কিন্তু দলীয় ১৪৩ রানে নিজের মনোযোগ হারান লিটন। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে শট মারতে গিয়ে ধরা পড়েন ম্যাকব্রাইনের হাতে। ৭১ বলে ৭০ রান করার পথে লিটন হাঁকিয়েছেন ৩টি চার আর ৩টি ছয়ের মার।

লিটন আউট হবার পর অর্ধশতক তুলে নেন শান্ত। ৫৯ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করা শান্তর এটি ক্যারিয়ারের ৩য় হাফসেঞ্চুরি। সাকিব আল হাসানকে সঙ্গী করে ৪৭ রানের জুটি গড়েন শান্ত। তবে দলীয় ১৯০ রানের মাথায় হিউমের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে হ্যারি টেক্টরের হাতে ধরা পড়েন ১৯ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১৭ রান করা সাকিব।

ছবি: সংগৃহীত

অন্যপ্রান্তে, দলীয় রান বাড়ানোর সাথে ওয়ানডেতে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসও খেলেন শান্ত। হিউমের বলে গ্লাভসে হালকা লেগে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়ে এই বাঁহাতি ব্যাটারের ৭৩ রানের ইনিংসের ইতি ঘটে। আম্পায়ারের আঙুল তোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। শান্ত হাঁকিয়েছেন ৩টি চার ও ২টি ছক্কার মার।

ছবি: সংগৃহীত

এরপর ব্যাট করতে নামেন মুশফিকুর রহিম। সিরিজের প্রথম ম্যাচের অসমাপ্ত ঝড়কে আবার নিয়ে আসেন মাঠে। অন্যপ্রান্তে তাওহীদ হৃদয় এদিনও ছিলেন সাবলীল। দুই ব্যাটার মিলে আইরিশ বোলারদের সীমানা থেকে বল কুড়িয়ে আনতেই ব্যস্ত রাখেন। আগ্রাসী এই জুটিতে আসে ৭৮ বলে ১২৮ রান। দলীয় ৩১৮ রানে আউট হন হৃদয়, করেন ৩৪ বলে ৪৯ রান। স্রেফ ১ রানের জন্য বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে নিজের প্রথম দুই ইনিংসে ফিফটি করা হলো না তাওহীদ হৃদয়ের। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে কট বিহাইন্ড হয়েছেন ৪৯ রান করে।

হৃদয় আউট হলেও নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। লফটেড শট, স্কয়ার কাটে কিংবা কাভার ড্রাইভে ওভার বাউন্ডারি, স্লগ সুইপ কিংবা স্কুপ- অভিধানের কোন শট ছিল না সেখানে! দিনটিকে একদম নিজের করে রাখবেন বলেই হয়তো পণ করেছিলেন মুশফিক। দলীয় রানের পুঁজিকে যেমন তিনি নিয়ে গেছেন এমন জায়গায়, যেখানে রেকর্ড বইয়ে শুরু হয়ে যায় কাটাছেড়া। দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডের দিনে মুশফিক নিজের নামটিও স্মরণীয় করে রাখলেন দেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি করে। ইনিংসের শেষ বলে তিনি স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৫৯ বলে ৯৯ রান নিয়ে। শেষ বলে আসে কাঙ্ক্ষিত সিঙ্গেল; ৬০ বলে তিনি পূর্ন করেন শতক। আর, বাংলাদেশ পায় ৩৪৯ রানের সংগ্রহ। আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নিয়েছেন পেসার গ্রাহাম হিউম।

/আরআইএম



Exit mobile version