Site icon Amra Moulvibazari

মেহেরপুরে এ বছরও লোকসানের আশঙ্কা পাট চাষিদের

মেহেরপুরে এ বছরও লোকসানের আশঙ্কা পাট চাষিদের


গত কয়েক বছর ধরে পাটের বাজার দর কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে মেহেরপুরের চাষিদের। চলতি বছরও দাম নিয়ে শঙ্কার মধ্যে দিন পার করছেন তারা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিন্ডিকেটের দাপটে প্রান্তিক চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে, পাটের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সোনালী আঁশের দেশ হলেও পাটের সেই সুদিন এখন আর নেই। গত কয়েক বছর ধরে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন পাট চাষ থেকে। চলতি বছর অনাবৃষ্টির কারণে পাট চাষে খরচ বেশি হয়েছে। বর্তমানে পাট কাটা শুরু হলেও জাগ দেয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। বিঘা প্রতি জমিতে পাট চাষে খরচ হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

এবার নদীতে পাট জাগ দিতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে জাগ দেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তারা। এদিকে পুকুর কিংবা জলাশয়ে পাট জাগ দিতে বাড়তি খরচ হচ্ছে। রিবন রেটিং পদ্ধতি নিয়েও স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই চাষিদের।

চাষিদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বড় বড় ব্যবসায়ীরা পাট কিনে গুদামজাত করে থাকে। এতে চাষিরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। এদিকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পাট আবাদ করে বিপাকে পড়েছেন এসব চাষি। অবশ্য পাট জাগ দেয়ার বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার সামছুল আলম বলেন, জমির এক কোণে গর্ত করে নিচে পলিথিন বিছিয়ে সেলোমেশিন দিয়ে বা বৃষ্টির পানি জমা রেখে পাট পচানোর পরামর্শ দিয়েছি আমরা। তবে বুকে বল পাওয়ার মতো কোনো আশার বাণি এখনও পৌঁছায়নি এসব পাট চাষিদের কাছে।

এসজেড/



Exit mobile version