রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভের একপর্যায়ে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বঙ্গভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আন্দোলকারীরা একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও কিছু পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। এ সময় আন্দোলকারীদের একটি অংশ পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে পুলিশ ভ্যানের ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে ভ্যানে থাকা পুলিশ সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
আন্দোলকারীদের একটি অংশ পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করার চেষ্টা করেন। এসময় অপর আরেকটি অংশ পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়, পুলিশ সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে। হামলার মুখে কয়েকজন পুলিশ সদস্য অস্ত্র ফেলে চলে যান। পরে আন্দোলনকারীরা অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেন।
এদিকে, এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেড-শটগানের গুলিতে তিনজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- ফয়সাল আহম্মেদ বিশাল (২৪) ও শফিকুল ইসলাম (৪৫)। সাউন্ড গ্রেনেডে আহত তরুণের নাম আরিফ (২০)।
সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ-আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এমন মন্তব্যের জেরে শিক্ষার্থীসহ অনেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেন। এরপর রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলসহ বিভিন্ন ব্যানারে একাধিক প্লাটফর্ম আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগে আল্টিমেটামও ঘোষণা করেন।
যদিও সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।
টিটি/এমএএইচ/