মৌলভীবাজারের কিন্ডারগার্টেন ও নার্সারি স্কুল গুলোতে চলছে রমরমা ভর্তি ও বই বাণিজ্যের মহোৎসব।
সরকার নির্ধারিত পাঠ্যবই ছাড়াও বিভিন্ন বই কোম্পানির সাথে কমিশন চুক্তিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঁচ থেকে দশটি অতিরিক্ত বই চাপিয়ে দিচ্ছে।
প্রতিটি বাবাই তার সন্তানকে সুশিক্ষিত করতে ভালো স্কুলে ভর্তির চেষ্ঠা করেন। সেই সুযোগে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা মৌলভীবাজার শহরে বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন স্কুল, নার্সারি, ক্যাডেট কোচিং সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানা রকম ধাপ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুধু মাত্র ভর্তি বাবদ দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অন্যদিকে প্রকাশনা কোম্পানি ও স্থানীয় লাইব্রেরির সাথে কমিশন ভিত্তিক চুক্তি করে অতিরিক্ত পাঁচ থেকে দশটি বই কিনতে বাধ্য করছে।
এতে বিপাকে অভিবাভকেরা। আর কোমলমতি শিশুরা জানায় এতো গুলো বই পড়তে হয় বলে খেলাধুলা করতে পারছে না তারা।
কিন্ডারগার্টেন স্কুলের লাইব্রেরির কথা শিকার করলেও বেশি বই দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন অনেক শিক্ষকরা।
মৌলভীবাজার শহরের সব কিন্ডারগার্টেনের নির্ধারিত লাইব্রেরি হলো প্যারিস লাইব্রেরি ও আজিজিয়া লাইব্রেরি। যেখানে শুধু বই বিক্রির ব্যবসা হয় না,ডাকাতি হয়।
২০ থেকে ২৫ টাকা দামের বই বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৯০ টাকায়। এ বই বিক্রি করে লাইব্রেরির মালিকরা ১০% থেকে ১৫% শতাংশ লভ্যাংশ পেলেও এর ৬০% থেকে ৬৫% লভ্যাংশ ভাগ করে নিচ্ছে এই বই বাণিজ্যে লিপ্ত বই প্রকাশনা সংস্থা ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া কাস্টমারদের সাথে রয়েছে যাচ্ছেতাই ব্যবহার।
যারা একটু দরিদ্র তারা এই অতিরিক্ত বই কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। আর যেভাবে বইয়ের দাম রাখা হয় তা সত্যিই অনেক পরিবারের সাধ্যের বাইরে।
আমাদের জেলার শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তাদের উচিত এই বিষয়ে একটু নজর দেয়া।
বিগত কয়েক বছর ধরে এরা শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করে আসছে। এভাবে চলতে থাকলে এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
মৌলভীবাজারের চাঁদনীঘাটে ভয়াবহ আগুন || Fire Accident
Connect with us on fb : Amra Moulvibazari