ব্যবহারকারীর সংখ্যার হিসাবে বিশ্বের ৯৭তম অবস্থানে আছে সিলেটি নাগরি ভাষা। আঞ্চলিক এই ভাষার আছে লিখিত রূপ।
স্থানীয় শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা বলছেন নাগরি ভাষার চর্চা বাড়াতে সরকার সহ সংশ্লিষ্ঠ সবার এগিয়ে আসার দরকার।
দেশের অনেক আঞ্চলিক ভাষার লিখিত রূপ না থাকলেও, সিলেটি ভাষার তা আছে। এর আরেক নাম সিলেটি নাগরি ভাষা। সিলেট ছাড়াও ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগন্জ, হাইলাকান্দি, শিলচর এবং ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাসর ও ধর্ম নগরের মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন।
ভিজুয়াল ক্যাপিটালিস্ট এর সম্প্রতি প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের এক কোটি আঠারো লাখ মানুষ কথা বলেন সিলেটি ভাষায়।
সর্বাধিক ব্যবহারকারী হিসাবে এটি এখন বিশ্বের ৯৭তম ভাষা।
নিজেদের মুখের ভাষাকে বিশ্বের ১০০ ভাষার তালিকায় দেখে গর্বিত সিলেটিরা।
গবেষকরা বলছেন মুক্তিযুদ্ধের সময় সিলেটি ভাষার লিখিত রূপের অনেক নথি হারিয়ে গেছে। তবে এখনো ভারতের আসাম ও ত্রিপুরার কিছু অংশে এর লিখিত চর্চা আছে।
আঞ্চলিক ভাষার এই চর্চা ধরে রাখতে দরকার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
সাহিত্যেও বেশ সমৃদ্ধ নাগরি ভাষা। গান, নাটক আর কথিতেও এর চর্চা বিদ্যমান।