Site icon Amra Moulvibazari

সিলেটে অভিনব পদ্ধতিতে হচ্ছে ছিনতাই

সিলেটে অভিনব পদ্ধতিতে হচ্ছে ছিনতাই

সিলেটের মদিনা মার্কেটে এসেছিলেন ছাতকের দুই প্রবাসী। বাজারে সওদা কেনার ফাঁকেই তারা পড়েন ছিনতাইকারীদের কবলে।
সশস্ত্র ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের সিএনজি অটোরিকশাতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর নগরীর নানা জায়গায় ঘুরিয়ে টাকা পয়সা , মােবাইল সব রেখে গভীর রাতে ছেড়ে দেয়।

এ ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নামে । পায় ঘটনার সত্যতাও।
পুলিশ ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সিলেটের অভিনব এই ছিনতাইকারী নেটওয়ার্কের পলাতক সদস্যদের খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ জানায় – যারা প্রবাসীদের গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে তাদের ছিনতাইয়ের ধরন নতুন । এর আগেও তারা একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে।
নগরীর মদিনা মার্কেটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাদের আস্তানা রয়েছে। পুলিশ তাদের নেটওয়ার্কের সন্ধান চালাচ্ছে।
পুলিশ জানায় – গত ১১ই ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে ছাতক এলাকার দুই লন্ডন প্রবাসী মদিনা মার্কেটে বাজার করতে আসেন। বাসায় আসার সময় তাদের টার্গেট করে ছিনতাইকারীরা।
বাজার করার ফাঁকেই তাদের সিএনজি অটোরিকশাতে তােলার চেষ্টা চালায় তারা।

এক পর্যায়ে চাকুর ভয় দেখিয়ে তারা ওই দুই প্রবাসীকে সিএনজি অটোরিকশাতে তুলে নেয়। এরপর সিএনজি অটোরিকশাটি তাদের নিয়ে আসে নগরীর শামীমাবাদ এলাকায়।
সেখানে সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামিয়ে তাদের প্রাইভেট কারে তুলে। এরপর কারযােগে বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে টিলাগড় এলাকায় একটি পাহাড়ের উপর আটকিয়ে তাদের কাছে থাকা ডলার , টাকা , স্বর্ণ , মােবাইল ফোন নিয়ে যায়। এবং তাদের আত্মীয় – স্বজনদের নিকট থেকে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

তারা দুইটা বিকাশ নম্বরও দেয় । এ সময় ভিকটিমের পক্ষ থেকে দুইটি বিকাশ নম্বরে ত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করে । পরে আর কোনাে টাকা পয়সা না পেয়ে বুধবার রাত পৌনে দুইটার সময় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এদিকে এ ঘটনার পরদিন ছিনতাইয়ের কবলে পড়া ২ যুবক কোতােয়ালি থানায় জিডি করেন । জিডি করার পর ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী দুইটি বিকাশ নম্বর ট্র্যাকিং করে নয়াবাজার থেকে ইয়াসীনকে আটক করে।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মজুমদারী এলাকা থেকে ছিনতাইকারী এনামুল হক সাজন নামে আরেকজনকে আটক করে পুলিশ ।

তাদের দেয়া তথ্য মতে – অপহরণ কাজে ব্যবহৃত সাদা একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন – আখালিয়া , নয়াবাজার এলাকার ময়দুর মিয়ার ছেলে ইয়াসীন ও জগন্নাথপুর উপজেলার চানপুর গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে এনামুল হক সাজন।

তাদের সঙ্গে আরাে জড়িত থাকা ৫ জনের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন এসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী।

Exit mobile version