Site icon Amra Moulvibazari

আইএমএফ’র পর বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা দিতে চায় বিশ্বব্যাংক ও এডিবি

আইএমএফ’র পর বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা দিতে চায় বিশ্বব্যাংক ও এডিবি


আইএমএফ’র পর সরকারকে বাজেট সহায়তা দিতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক ও এডিবি। এরইমধ্যে ১৭০ কোটি ডলারের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর লক্ষ্য, আগামী ৩ বছরে অন্তত ৭০০ কোটি ডলার সংগ্রহ করা। পরিকল্পনা বিভাগ বলছে, বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ নেয়ার সক্ষমতা বেড়েছে। সুদের হার হিসাব করলে এসব দেনার খরচও কম। তাই সম্ভাব্য সব উৎসে আলোচনা করছে সরকার। তবে গবেষকরা বলছেন, বিদেশি সহযোগীদের ঋণের সুফল দ্রুত না মিললে অর্থনীতিতে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না।

এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। রিজার্ভে টান এড়াতে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব গিয়েছে আগেই। পরিস্থিতি যাচাইয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘুরেও গেছে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল। এখন অপেক্ষা আইএমএফের ফিরতি প্রস্তাবের। এর মাঝেই ঋণ নিয়ে হাজির অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী। বাজেট সহায়তা দিতে চায় তারাও। অর্থ, পরিকল্পনা ও রাজস্ব বিভাগের নানা দফতরে আলোচনা হয়েছে এরই মধ্যে।

প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, আইএমএফের পাশাপাশি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দিতে পারে ১০০ কোটি ডলার। ৭০ কোটি ডলার আসতে পারে বিশ্বব্যাংক থেকে। পাশাপাশি, জাপানি উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) ও এশীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাংকের (এআইআইবি) সাথে বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেছে সরকার।

এনিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, এখন মাত্র ১.১ শতাংশ আমরা ঋণ পরিশোধ করছি আমাদের দেশজ আয়ের। এটিকে কম করে হলেও ৩ শতাংশ পর্যন্ত আমরা যেতে পারি। সহায়তায় আগ্রহী এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য আছে, সবচেয়ে কম সুদ আইএমএফের, বিশ্বব্যাকেরও খুব বেশি নয়। তবে সবকিছুই আমাদের দুই থেকে আড়াই শতাংশের নিচে। এটি কিন্তু খুবই সস্তা বিশ্ববাজারে।

জ্বালানি তেল কিনতে বছরে গড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বাংলাদেশ। তবে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এখন খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। এরমধ্যে চীন ও জাপানে উৎপাদন কম হওয়ায় স্বস্তির আভাস মিলছে। সোমবারই (১ আগস্ট) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি কমেছে ১ ডলারের বেশি। প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কি রিজার্ভের জন্য আদৌ বিদেশি ঋণ দরকার বাংলাদেশের?

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেমের মতে, রিজার্ভ ছাড়াও সরকারের এই মুহূর্তে বেশ কিছু মধ্যমেয়াদী চ্যালেঞ্জ যাচ্ছে। সেগুলোর প্রেক্ষাপটেও এখন ঋণ সহায়তা নেয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি। যেমন জ্বালানির ক্ষেত্রে বহুমুখীতা, বিকল্প নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যাওয়া, এরজন্য যে বিনিয়োগ প্রয়োজন তা এসব ঋণ থেকে উঠে আসতে পারে বলে মনে করেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ৩ অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী থেকে ৫৮৮ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে সরকার।

এসজেড/



Exit mobile version