Site icon Amra Moulvibazari

জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য রাখা কলা খেয়ে ফেললেন শিক্ষার্থী

জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য রাখা কলা খেয়ে ফেললেন শিক্ষার্থী


জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য লাগানো শিল্পকর্ম থেকে একটি পাকা কলা খেয়ে ফেলেছেন এক শিক্ষার্থী। এমন ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের একটি জাদুঘরে। এই ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হলেও শিল্পকর্ম নষ্ট করার কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত কলাটি ছিল একটি ‘শিল্পকর্ম’। যার নাম ‘কমেডিয়ান’। ‘উই’ নামে একটি প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে পাকা কলাটি টেপ দিয়ে সিউলের লেয়াম মিউজিয়াম অব আর্ট নামের জাদুঘরের দেয়ালে সেঁটে রাখেন শিল্পী মরিজিও কাতেলান। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, খেয়ে ফেলা কলাটির জায়গায় পরে নতুন আরেকটি কলা আটকে দেয়া হয়।

যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

প্রদর্শনীতে এই কলাটিকে অনেকেই আনন্দের বিষয় হিসেবে দেখলেও এটি খেয়ে ফেলেছেন নোহ হুইন-সো নামে দক্ষিণ কোরিয়ার এক শিক্ষার্থী। চলতি সপ্তাহে প্রদর্শনীতে গিয়ে সবার সামনেই দেয়াল থেকে কলাটি নিয়ে খেয়ে ফেলেন তিনি। এরপর টেপ দিয়ে খোসাটি আবার যথাস্থানে সেঁটে দেন।

এমন কাজ কেন করলেন- এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী বলেছেন, সকালের খাবার না খেয়ে বের হওয়ায় তিনি ক্ষুধার্ত ছিলেন। এ কারণেই তিনি ডাক্ট-টেপ দিয়ে আটকে রাখা কলাটি খুলে খেয়ে ফেলেছেন। পরে তিনি কলার খোসাটি আবার সেখানে সেঁটে দেন। তিনি নিজেও শিল্পকলা নিয়ে পড়ালেখা করছেন।

এ ব্যাপারে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, তারা ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করবে না। এমনিতেও প্রদর্শনীর ওই কলাটি দুই-তিন দিন পর পর বদলে ফেলা হয়। নো হুই-সু নামের ওই শিক্ষার্থী যখন কলাটি খাচ্ছিলেন তখন তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু ঘটনাটি ভিডিও করছিলেন। এক মিনিটের মধ্যেই তিনি কলাটি সাবাড় করে ফেলেন। পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি পোস্ট করেন।

উল্লেখ্য, শিল্পী ক্যাটেলানের শিল্পকর্মে পাকা কলার ব্যবহার এটাই প্রথম নয়। আর সেই কলা খেয়ে ফেলার ঘটনাও আগে আরেকবার ঘটেছিল। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে তার বিক্রি হওয়া ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের শিল্পকর্ম থেকে পারফরম্যান্স শিল্পী ডেভিড দাতুনা একটি কলা খেয়ে ফেলেছিলেন। সেবারও শিল্পকর্ম নষ্ট করার ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তোলা হয়নি।

ইউএইচ/



Exit mobile version