Site icon Amra Moulvibazari

রাশিয়া-নির্ভরতা কমাতে ইসরায়েল-মিশরের সাথে চুক্তি ইইউ’র

রাশিয়া-নির্ভরতা কমাতে ইসরায়েল-মিশরের সাথে চুক্তি ইইউ’র


ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার ওপর থেকে জ্বালানী নির্ভরতা কমাতে এবার ইসরায়েল ও মিসরের সাথে চুক্তি করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর ফলে মিসরের মাধ্যমে ইউরোপে গ্যাস রফতানি করবে ইসরায়েল। অস্থায়ী এই চুক্তির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করবে ইসরায়েল। ২০৩০ সাল মেয়াদি এই চুক্তি বাস্তবায়নে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই জ্বালানী সংকটে ইউরোপ। অঞ্চলটির মোট আমদানি করা প্রাকৃতিক গ্যাসের ৪০ শতাংশেরই যোগান দিয়ে আসছিল রাশিয়া। ফলে, জ্বালানীর বিকল্প উৎসের সন্ধানে মরিয়া ইউরোপ।

সেই চাহিদা মেটাতে এবার ইসরায়েল থেকে জ্বালানী আমদানির পরিকল্পনা ইউরোপের। এ লক্ষ্যে ইসরায়েল এবং মিসরের সাথে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চুক্তির বিনিময়ে মিসরের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ১শ’ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা পাঠাবে ইইউ।

ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেন, অবশ্যই এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ইউরোপের জ্বালানী সংকট মোকাবেলায় বড় ভূমিকা রাখবে এই চুক্তি। পাশাপাশি ইসরায়েল এবং মিসরের সাথে সম্পর্ক এবং অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে ইউরোপ।

ইসরায়েল থেকে ইউরোপে জ্বালানীয় সরবরাহের পথ মূলত দুটি। একটি মিসরের মধ্যে দিয়ে, অপরটি তুরস্কের সাথে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল মিসরের মাধ্যমে পাইপলাইনে তরল গ্যাস সরবরাহ করবে ইউরোপে। প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত থাকবে চুক্তির মেয়াদ।

ইসরায়েলের জ্বালানি মন্ত্রী কারিন এলহারার বলেন, ইউরোপীয় মিত্রদের জ্বালানী সংকট সমাধানে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সবচেয়ে বড় বিষয় এই সংকট মোকাবেলায় ইসরায়েল এবং মিসর একসাথে কাজ করছে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলে অন্তত এক ট্রিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাসের মজুদ রয়েছে।

ইউএইচ/



Exit mobile version