Site icon Amra Moulvibazari

আপিল বিভাগের আদেশের পরও ভাঙা হচ্ছে না অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

আপিল বিভাগের আদেশের পরও ভাঙা হচ্ছে না অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

অবৈধ স্থাপনা

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আর প্রভাবশালীরাই নদীর জায়গা বারবার দখল করছে বলে নদীকে মুক্ত করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ বিআইডব্লিউটি এর।

এছাড়া আবর্জনা আর সেতু বিভাগের নির্মাণাধীন প্রকল্পের কারণে তুরাগ পুরোপুরি মৃত বলে মত সংস্থাটির।
দ্বিতীয় দিনের উচ্ছেদ অভিযানে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি বহুতল অবৈধ স্থাপনা।

নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ এর এক্সেভেটর বহনকারী নৌযান সামনে যেতে না পারায় গত বুধবার দুপুরে তুরাগের রেলসেতুর নিচে এসে থমকে যায় উচ্ছেদ অভিযান। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিআইডব্লিউটিএ জানায় স্থানীয় জন প্রতিনিধিরাই এসব দখলের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তিনি জানান, ওইখানে কাজ করা চায়না একটি কোম্পানি নদীর দু পাশ থেকে নদীতে মাটি ফেলে নদীকে ভরাট করে ফেলেছে। অতিরিক্ত ময়লা আবর্জনার কারণে এখান দিয়ে কোনো কিছু যেতে পারছে না।

এদিকে নির্মাণাধীন টঙ্গী নতুন সেতুর কাজের জন্য মাটি নিয়ে তুরাগ ভরাট করার বিষয়ে জানতে গেলে সেতু বিভাগের অধীনে কাজ করা চায়না কর্মীদের হাতে উল্টো লাঞ্চিত হন বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তারা।

বিআইডব্লিউটি এর আরেকজন কর্মকর্তা জানান, ওইখানের স্থানীয় একজন কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন সরকার এসব অবৈধ স্থাপনার ক্ষেত্রে দায়ী। তিনিই নাকি এখান থেকে টাকা নিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো বসাচ্ছে।

আপিল বিভাগ থেকে উচ্ছেদের পক্ষে রায় পেলেও তুরাগ দখল করে গড়ে উঠা দেশের শীর্ষ কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও অবৈধ অংশ উচ্ছেদ না করার অভিযোগ উঠেছে। উপরের নির্দেশনা না থাকায় উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।

Exit mobile version