তাকে চোর ডাকাত বললে কম বলা হবে। বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর পদে থাকায় আইন কানুনের যত ফাঁক ফোকর আছে সবই কাজে লাগিয়েছেন। লুটে নিয়েছেন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এরপর পালিয়ে গেছেন কানাডায়।
লুটেরা প্রশান্ত কুমার বা পি কে হালদারের নাম এখন অনেকেই জেনে গেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে তার কী কিছুই হবে না। এটাও কী সম্ভব ভুয়া কোম্পানির পর কোম্পানি খুলে ঋণের নামে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা হজম করে ফেলবেন পিকে।
নামে বেনামে কোম্পানি করেছেন ৩৭টির মতো। ঋণ নিয়েছেন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এর পুরো টাকা লোপাট করে কানাডায় চম্পট। নাম প্রশান্ত কুমার হালদার।
ব্যাংক পাড়ায় পরিচিতি পিকে হালদার নামে। এমডি ছিলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের।
কেএইচবি সিকিউরিটিজ হাউজ মতিঝিলের এই হাউজটি করেন পিকে। যে তিনটি হাউজের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির মালিকানা কিনতেন তিনি তার মধ্যে এটি অন্যতম।
দুদকের মামলার পর বন্ধ হয়েছে পিকের মালিকানাধীন হাল ট্রাভেলস। তবে আঁচ লাগে নি একই ভবনের উপরের তলার হাল ক্যাপিটালের গায়ে।
পিকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ভুয়া ঋণের জোগান ছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনার লিজিং এর। শেয়ার কিনে প্রতিষ্ঠানটির দখল নিয়েছিল ধুরন্ধর পিকে। এটিও এখন চলছে সুবিধা ভোগীদের মালিকানায়।
অক্টোবরে বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারির পর দিনই বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত হয়ে কানাডায় পাড়ি জমান সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট কারী পিকে।
দেশ বিদেশে নামে বেনামে পিকে হালদারের রয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পিকে হালদারের মা লীলাবতী, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার, তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, উজ্জ্বল নন্দী, অভিজিত অধিকারী সহ আত্মীয় স্বজনরা।
দুদক জানিয়েছে তার সব সম্পত্তি যাতে ক্রোক করা যায় তার জন্য তারা আদালতে আবেদন পাঠিয়েছে। আদালত আবেদন মঞ্জুর করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান।