রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমারের বিচার শুরু হয়েছে। এবার দায়ী ব্যাক্তিদের বিচার করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। ঢাকায় সফররত আইসিসির পরিচালক ফাকিসো মুচোচোকো বলছেন এটা কঠিন হলেও পিছু হঠবেন না তারা।
এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমারকে অভিযুক্ত করেছে নেদারল্যান্ডস এর হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত আই সি জে।
এবার দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজতে মাঠে নেমেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি। এরই মধ্যে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে তাদের প্রতিনিধি।
আইসিসির পরিচালক জানান কারা রোহিঙ্গাদের হত্যা করেছে, কে পরিকল্পনা করেছে এবং কে তাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে তা বের হয়ে আসবে তদন্তে।
তিনি জানান, “আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাজ হলো অপরাধ তদন্ত করা। তা সে আইসিসির সদস্য হোক বা না হোক।
আইসিসির প্রসিকিউটর এতে প্রতিস্রুতিবদ্ধ। যে বা যারা রোহিঙ্গা গণহত্যার নৃশংসতার সঙ্গে জড়িত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের সবার বিচার করা হবে। এই তদন্ত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবেই করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, তদন্তে সহায়তা চাওয়া হলেও বারবার পাশ কাঠিয়ে গেছে মিয়ানমার। এটা দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আইসিসি পরিচালকের দাবি এই তদন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিষয়। তবে রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের তদন্ত ও বিচার আলাদা ইস্যু।প্রত্যাবাসনে দেরি হলেও তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না।
রোমান সনদের নীতিমালা অনুযায়ী ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আদালত বিচারের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি বা সংগঠনকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে। এমনকি গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করতে পারে।
সাম্প্রতিক পোস্টঃ মৌলভীবাজারের রাজনগরে আসছেন মিজানুর রহমান আজহারী
Connect with us on Facebook :