রাজধানীর অভিজাত এলাকা উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের সড়কের পাশ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। পলিথেনের ব্যাগে রক্তাক্ত অবস্থায় মোড়ানো ছিল শিশুটি। সংকটাপন্ন অবস্থায় ছেলে শিশুটি একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জন্মের পর ফুল থেকে নাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়। এতে রক্তক্ষরণ হয়েছে ব্যাপক। এছাড়া ছুড়ে ফেলে দেয়ায় আঘাতও লেগেছে শরীরে।
সোমবার (১ মে) রাত ১১টার দিকে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের তিন নম্বর সড়কে পাওয়া শিশুটিকে। পলিথিনে মোড়ানো থাকায় স্থানীয় সিকিউরিটি গার্ডরা ভেবেছিলেন অন্য কোনো প্রাণীকে হয়তো পলিথিনে মুড়িয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। পরে পলিথিনের ব্যাগটি খোলা হলে ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় নবজাতকটিকে। পরে পাশের ভবনের বাসিন্দা সেলিম খানের সহায়তায় দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে নিষ্ঠুরতার চিহ্ন। এ নিয়ে নবজাতক ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিপ্লব কুমার বসাক বলেন, শিশুটির নাভি ছিল পুরোপুরি ছেঁড়া। অণ্ডকোষ, হাত ও মুখের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ক্ষত রয়েছে। প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে নবজাতকটির।
যেখানে শিশুটিকে ফেলে রাখা হয় সেই অংশ একটি সিসিটিভির আওতাধীন। মধ্যরাতে নানা জটিলতায় ঘটনার সময়ের সেই ফুটেজ মেলেনি।
রাজধানীতে প্রায়ই ময়লার ভাগাড়ে, নালা-নর্দমায়, কিংবা ব্যাগবন্দি অবস্থায় সড়কের পাশ থেকে নবজাতক উদ্ধার হয়। এদের অধিকাংশকেই বাঁচানো যায় না। কাউকে বাঁচানো সম্ভব হলেও সারা জীবন সেই শিশুদের বয়ে বেড়াতে হয় নিদারুণ বেদনা।
এসজেড/