Site icon Amra Moulvibazari

গুলিস্তানের মার্কেটটি গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছিল; তদন্তকারীদের ধারণা

গুলিস্তানের মার্কেটটি গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছিল; তদন্তকারীদের ধারণা


গুলিস্তানের কুইন স্যানিটারি মার্কেটটি বিস্ফোরণের আগে গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছিল বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা।

বুধবার (৮ মার্চ) সকালে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গুলিস্তানের বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় তদন্তকারী দল জানায়, ভবনের নিচে সুয়ারেজ ও পরিত্যক্ত গ্যাস লাইনের পাইপের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এছাড়া সেপটিক ট্যাংক থেকে গ্যাস জমা হতে পারে বলেও ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। বিস্ফোরণের সাথে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যোগসূত্র নেই বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। ঘটনাস্থলে বারুদ বা এ ধরনের কোনো কিছুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়া রঙিন বা কালো ধোঁয়াও ছিল না।

সকালে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, যেহেতু বেজমেন্টে সেফটিক ট্যাংক ছিল, সেখান থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি বলেন, আমি তাৎক্ষণিকভাবে এখানে এসেছি। সেনা অধিদফতরে কথা বলে তাদের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসেছি। তাছাড়া, সিটিটিসিতে (কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) বিশ্বমানের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ আছে। তাদের মাধ্যমে পরীক্ষা করিয়ে আমরা এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরকের কোনো আলামত পাইনি। যেহেতু বিস্ফোরণটি ঘটেছে বেজমেন্টে, তাই সেখানে সেফটিক ট্যাংক ছিল কিনা, কোনো গ্যাস নির্গমনের ঘটনা ঘটেছিল কিনা- এসব তদন্তের পরই চূড়ান্ত কারণ জানা যাবে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, কোনো স্থানের মোট বাতাসের ৫ শতাংশ যদি মিথেন গ্যাস জমা হয়, আর তাতে কোনো স্ফুলিঙ্গ যোগ করা হলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এরকম একটি বাণিজ্যিক এলাকায় কৃত্রিমভাবে মিথেন গ্যাস জমা হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, সকল দিক সামনে নিয়েই তদন্ত করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: জেলা প্রশাসনের কাছে ৩ জন নিখোঁজের আবেদন

/এম ই



Exit mobile version