স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী:
সৌদি আরবের জেদ্দা-মদিনা মহাসড়কে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নরসিংদীর শিবপুরের একই পরিবারের দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
মক্কা থেকে ওমরাহ পালন শেষে মসজিদে নববি জিয়ারতের উদ্দেশে জেদ্দা থেকে মদিনা যাওয়ার ৩৫০ কিলোমিটার পূর্বে ‘ওয়াদি আল ফারাহ’ নামক স্থানে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত বাংলাদেশ সময় ১টায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জন মারা যান।
নিহতরা হলেন জেদ্দা, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ বাংলা শাখার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের পিতা নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হাজী আব্দুল মালেক (৭০) ও শাকিলের স্ত্রী তাসলিমা (২৫)। এ সময় আতাউর রহমান মুকুল ও তার পরিবারের বাকী সদস্যরা গুরুতর আহত হন।
আহতরা হলেন, আতাউর রহমান মুকুলের স্ত্রী সাহিদা আক্তার (৩৫) তার মেয়ে জান্নাতুল বাকিয়া মুন (১০) শাকিলের ছেলে বন্ধন (৬) সানাউল্লাহর ছেলে জাহিদ(১৯)। দুর্ঘটনার খবর বাড়িতে পৌঁছালে পরিবারটিতে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহত আব্দুল মালেক মেম্বারের ছেলে ওয়াদুদ জানান, আমার বড় ভাই জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ বাংলা শাখার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ওখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছেন। আমিও ওখানে ছিলাম। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আমার বাবা, ভাগিনা ও ভাগিনার বউ বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব যান। ওমরাহ পালন শেষে বড় ভাই আতাউর রহমান মুকুলসহ পরিবারের বাকি সদস্যদেরকে নিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে জেদ্দা থেকে মদিনায় জিয়ারতে যাচ্ছিলেন তারা। পথিমধ্যে রাস্তায় গাড়িটি উল্টে দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘঠনাস্থলে আমার পিতা আব্দুল মালেক মেম্বার ও ভাগিনা বউ তাসলিমা বেগম (২৫) মারা যায়। আহত হয়েছে গাড়িতে থাকা সবাই।
আহতদের মদিনায় একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেদ্দা কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত বড় ভাই আতাউর রহমান মুকুলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তাদের সুস্থ হতে সময় লাগতে পারে। সুস্থ হওয়ার পরেই বাবা ও ভাগিনা বউ এর লাশসহ ও সাইকে নিয়ে দেশে ফিরবেন তারা।
/এনএএস