তার উপাধির শেষ নেই। কেউ বলেন বিউটি কুইন, কেউ বলেন ঢাকাই সিনেমার সম্রাজ্ঞী। কেউ আবার তাকে ডাকেন মহানায়িকা বলে। অভিনয় গুণে নিজেকে অতুলনীয় করে তুলেছেন তিনি। বাংলাদেশের অতুলনীয় কিংবদন্তী অভিনেত্রী শাবানার জন্মদিন আজ।
তিনি অভিনয়ে নেই কয়েক দশক। নেই চোখের সামনেও, সপরিবারে স্থায়ী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তবু তাতে এতটুকুও কমেনি তার আবেদন। ভক্তরা মনে রেখেছেন শাবানাকে, মনে রেখেছেন তার জন্মদিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাই জন্মদিনের প্রথম প্রহরেই ভক্তদের ভালবাসা আর শ্রদ্ধায় ভাসলেন শাবানা।
১৯৫২ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পুরো নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। পড়াশোনার জন্য বাবা-মা ভর্তি করিয়েছিলেন ঢাকার গেন্ডারিয়া হাইস্কুলে। কিন্তু পড়ায় তার মন ছিল না। তাই ৯ বছর বয়সেই শিক্ষা জীবনের ইতি টানেন তিনি। ১৯৬২ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন শাবানা। সিনেমার নাম ছিল ‘নতুন সুর’। ওই সময় তিনি রত্না নামেই অভিনয় করতেন।
এরপর ‘তালাশ’-সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় নৃত্যশিল্পী ও অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। সহনায়িকা চরিত্রে তাকে দেখা যায় ‘আবার বনবাসে রূপবান’ ও ‘ডাক বাবু’তে। ১৯৬৭ সালে এহতেশাম পরিচালিত ‘চকোরী’তে রত্না থেকে তিনি হয়ে যান শাবানা। বাংলা ও উর্দু ভাষায় নির্মিত এ সিনেমা ছিল খুবই ব্যবসা সফল।
তারপর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি শাবানাকে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন প্রায় তিনশ সিনেমায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ভাত দে, ছুটির ঘণ্টা, দোস্ত দুশমন, ওরা এগারো জন, পালাবি কোথায়, স্বামী কেন আসামি, চাঁপা ডাঙার বউ ইত্যাদি।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে শাবানা স্থাপন করেছেন অসামান্য সব মাইলফলক। অনবদ্য অভিনয়ের যাদুতে দর্শকদের যেমন মুগ্ধ করেছেন, তেমনি ভারি করেছেন পুরস্কারের শোকেসও। কেবল অভিনেত্রী হিসেবেই তিনি ১০ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও প্রযোজক হিসেবে একবার এবং সর্বশেষ আজীবন সম্মাননাও পেয়েছেন এই নন্দিত অভিনেত্রী।
১৯৯৭ সালে শাবানা অজানা কারণে হঠাৎই বিদায় নেন চলচ্চিত্র থেকে। ২০০০ সাল থেকে বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর বাংলাদেশে ফিরলেও তার আর ফেরা হয়নি রূপালি পর্দায়।
আজ গুণী এ অভিনেত্রীর জন্মদিনে যউনা নিউজের পক্ষ থেকে রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা, শুভ জন্মদিন শাবানা।
/এসএইচ