ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট উচ্চ জোয়ারে সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে । আর বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়ে’শ গ্রাম । তলিয়ে গেছে ফসলী জমি , ভেসে গেছে মাছের ঘের ।
উপকুলবাসীর অভিযোগ , যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন । নামমাত্র বাঁধ সংস্কার করা হয় । বছরের বাকি সময় কেউ খোঁজই নেয় না । এ অবস্থায় টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা । গেল বছরের ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষত এখনো শুকায়নি । এরই মধ্যে আবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ইয়াশের প্রভাব পড়েছে সাতক্ষীরা শ্যামনগরে ।
বুধবার বেলা ১১ টার দিকে পূর্ণিমার পূর্ণ জোয়ারের সময় কপোতাক্ষ , খোল পেটুয়া ও চূণা নদীতে হঠাৎ ৬-৭ ফুট পানি বৃদ্ধি পায় । এসময় উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা , পদ্মপুকুর , বুড়িগোয়ালিনী ও কৈখালী ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ।
বেশ কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায় । প্লাবিত হয় ঘর – বাড়ি , ফসলি জমি ও মৎস্য ঘের । উপকুলবাসীর অভিযোগ , যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ই বেড়িবাঁধ রক্ষায় নড়েচড়ে প্রশাসন । ঝড় , ঝঞ্চার চলে গেলে আর খবর থাকে না । এ অবস্থায় টেকসই বেরি বাধের অভাবে প্রতিবছরই ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা ।
জেলা প্রশাসক বলছেন , এ জেলার ক্ষয় – ক্ষতি নিরুপণে কাজ চলছে । এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট উচ্চ জোয়ারে খুলনার তিনটি উপজেলার অন্তত ১৮ টি স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে । এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় অর্ধশত গ্রাম ।