কেনো মুসলমানদের নিকট মসজিদুল আকসা এতোটা গুরুত্বপূর্ণ?

0
7
Masjidul Aqsa

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই জানেই না কেনো মুসলমানদের নিকট মসজিদুল আকসা এতোটা গুরুত্বপূর্ণ??

যেখানে ইহুদিরা সমগ্র ফিলিস্তিনই দখল করে নিছে, সেখানে মাত্র ১৪ একর জায়গার জন্য কেনো এতো অত্যাচার-নির্যাতনের পরেও ফিলিস্তিনের মুসলমানরা বারবার মসজিদের দিকে ধাবিত হচ্ছে!!

১. এখানেই রয়েছে হযরত ইব্রাহিম এবং মূসা (আ) সহ অসংখ্য নবী রাসুলের কবর।

২. এখানেই আল্লাহর মহানবী রাসুল (সা) সকল নবী রাসুলদের এবং ফেরেস্তাদেরকে নিয়ে নামাজ পড়ছিলেন।সেই জামাতের ইমাম ছিলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এবং এই জামাতে মতান্তরে প্রায় ২৪ হাজার নবী রাসুল ছিলেন।

৩. এখান থেকেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বোরাকে করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন।

৪. এই মসজিদের নির্মাণের সাথে জড়িয়ে আছে হজরত আদম এবং সুলাইমান আলাইহিসসালাম এর নাম।

৫. এর সাথে জড়িয়ে আছে খলিফা হজরত উমর (রা)এর সেই বিখ্যাত উটের বিরল ঘটনা।

৬. এখানের সাথেই জড়িয়ে আছে দ্যা গ্রেট সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবীর অসংখ্য স্মৃতি।

৭. এই মসজিদের পাথরের গায়ে লেখা রয়েছে সম্পূর্ণ সূরা ইয়াসিন।

৮. এই মসজিদের জন্য জ্বীনদের দ্বারা পাথর উত্তোলন করা হয়েছে গহীন সাগরের তলদেশ থেকে।যা কিনা কোন মানুষের পক্ষে অসম্ভব!!!

৯. এই মসজিদে ২ রাকাআত নামাজ আদায় করার জন্য একজনের আমল নামায় ২৫ হাজার রাকাআত নামাজের সমপরিমাণ সওয়াব লিখা হবে।

১০. পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে মধ্যখানেই মহান আল্লাহ এই মসজিদ নিয়ে আলোচনা করছেন।

১১. সর্বোপরি এই মসজিদটাই ছিল মুসলমানদের সর্বপ্রথম কিবলা।

“তোমাদের কেউ যদি কোনো খারাপ কাজ বা বিষয় দেখো, তাহলে সে যেন হাত দিয়ে তা পরিবর্তন করে দেয়, যদি তা করতে অপারগ হয় তাহলে যেন মুখ দিয়ে তার প্রতিবাদ করে, যদি তাও করতে সক্ষম না হয় তাহলে যেন অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করে, আর এটাই হচ্ছে ঈমানের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলতম স্তর।” (বুখারি, হাদিস নং: ১৯৪)

©সংগ্রহীত এবং পরিমার্যিত


আরো পড়ুনঃ আল-আকসায় হামলার মধ্যেই এবার গাজায় বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল