গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাটে মারা যাওয়া কলেজ ছাত্রী মুনিয়া’র মামলায় বিনামূল্যে আইনি লড়াই করবেন সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত আইনজীবি ব্যরিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে নিজের ফেইসবুক পেইজ থেকে লাইভে এসে তিনি এই ঘোষণা দেন।
তিনি লাইভে এসে বলেন, ‘ফ্ল্যাটে যে তরুণীটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার বাবা-মা মারা গেছেন অনেক আগেই। এই এতিম মেয়ের জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি আমার চেয়ে ভালো আইনজীবি না পান তাহলে আমি তার পক্ষে আইনি লড়াই করতে চাই। তার পরিবারকে এই ঘটনায় সব ধরণের আইনি সহায়তা দিতে চান তিনি।’
এই ঘটনায় অভিযুক্ত আসামির পরিচয় গোপন করার জন্য বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনাও করেন তিনি। তিনি বলেন, অভিযুক্ত আসামী বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি হওয়ায় দেশের গণমাধ্যমগুলো তার নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করে ভিক্টিমের ছবি ও পরিচয় প্রকাশ করে। যা সত্যিই দুঃখজনক।
তিনি প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই ঘটনার বিচারের প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করতে উনার কাছে আবেদন করেন।
গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মুনিয়ার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তরুণীর বড় বোন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনে মামলায় করেন। এর পরদিন এই মামলায় আদালত সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।